ঋগ্বেদ ১/১৬২/২০-২২ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

18 July, 2025

ঋগ্বেদ ১/১৬২/২০-২২

মা ত্বা তপৎপ্রিয় আত্মাপিয়ন্তং মা স্বধিতিস্তম্ব আ তিষ্ঠিপত্তে। 

মা তে গৃধ্নূরবিশস্তাতিহায় চ্ছিদ্রা গাত্রাণ্যসিনা মিথূ কঃ৷৷ 

ন বা উ এতন্ম্রিয়সে ন রিষ্যসি দেঁবা ইদেষি পথিভিঃ সুগেভিঃ।

হরী তে যুঞ্জা পৃষতী অভূতামুপাস্থাদ্বাজী ধূরি রাসভস্য ॥ 

সুগব্যংনো বাজী স্বশ্ব্যং পুংসঃ পুত্রাঁ উত বিশ্বাপুযং রয়িম্। 

অনাগাস্ত্বং নো অদিতিঃ কৃণোতু ক্ষত্রং নো অশ্বো বনতাং হবিষ্মান্॥ 

ঋগ্বেদ সংহিতা ০১।১৬২।২০-২২


পদার্থঃ-হে বিদ্বান! (তে) তোমার (প্রিয়) মনোহর (আত্মা) আত্মা (অপিয়ন্তম্) মৃত্যুমুখে পতিত (ত্বা) তোমাকে (মা তপত্) কষ্ট দিবে না এবং (স্বধিতি) বজ্রের ন্যায় বিদ্যুৎ তোমার (তনুঃ) শরীরকে (মা, আ, তিষ্ঠিপত্) বাঁকা না করে তথা (গৃধ্নূ) আকাঙ্ক্ষাশীল প্রাণী (অসিনা) তরবারি দ্বারা (তে) তোর (অবিশস্তা) আঘাতহীন অর্থাৎ (ছিদ্রা) ছিদ্রযুক্ত ইন্দ্রিয়সহ (গাত্রাণি) অঙ্গসমূহকে (অতিহায়) সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করে (মিথূ) পরস্পরের একতা (মা কঃ) না করুক॥

ভাবার্থঃ শরীর ও আত্মার বিবেকের কারণে আমাদের প্রাণবিয়োগ যেন কষ্টদায়ক না হয়। এই বিবেকপ্রাপ্তির জন্য আমরা এমন আচার্য লাভ করি, যিনি লোভমুক্ত এবং জ্ঞানের দ্বারা দোষসমূহ দূর করতে সক্ষম। ১/১৬২/২০ (হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্গারকৃত ভাষ্যের অনুবাদ)

যে মানুষ যোগাভ্যাস করেন, তারা মৃত্যুর যন্ত্রণায় পীড়িত হন না। এবং জীবনে রোগও তাদের দুঃখ দিতে পারে না। -ঋ০ ১।১৬২।২০ (মহর্ষি দয়ানন্দকৃত ভাবার্থ)

ঋঃ ১।১৬২।২১ মন্ত্রের বিষয়ঃ জ্ঞানী বিদ্বান্‌ এবং রাষ্ট্রপতির কর্ত্তব্য।

ভাবার্থঃ হে বিদ্বান্‌! (বা উ) নিশ্চয় তু (এতৎ) এটি সত্য তত্ত্ব হওয়ায় কখনও (ন ম্রিয়সে) মৃত্যুকে প্রাপ্ত হয় না। (ন রিষ্যসি) না তুমি কখনও মারা যেতে পারে। তুমি অমর হয়ে (সুগেভিঃ পথিভিঃ) সুখে গমন করিবার যোগ্য জ্ঞানমার্গ দ্বারা (দেবান্ এত্) জ্ঞানপ্রদ তেজস্বী প্রিয় বিদ্বানদেরই (এষি) প্রাপ্ত হও। (তে) তোমার (যুঞ্জা) পরস্পর সংযুক্ত এবং যোগ দ্বারা একাগ্রচিত্ত হইয়া (হরী) অগ্রসর আত্মা ও মন, প্রাণ ও অপান উভয় (পৃষতী) সুখ ও ব্রহ্মানন্দরস বর্ষণকারী (অভূতাম্) হউক। এবং (বাজী) জ্ঞান ও ঐশ্বর্যযুক্ত বিদ্বান্‌ পুরুষ (রাসভস্য) অন্তর্নাদকারী পরম উপদেষ্টব্য আত্মার (ধুরি) মুখ্য, পরম, ধারকরূপে (উপঅস্থাত্) অবস্থান করুক। তদা দৃষ্টুঃ স্বরূপে অবস্থানম্‌। যোগসূত্র ১।৪॥ (জয়দেব শর্মাকৃত ভাবার্থ)

(২) রাষ্ট্রপক্ষের অর্থে— (জয়দেব শর্মাকৃত ভাষ্যঅনুবাদ)

হে রাষ্ট্র! (এতৎ নব উ ম্রিয়সে ন রিষ্যসি) এইরূপ সুশৃঙ্খলভাবে আত্মা কখনও ন মরে, ন পীড়িত হয়। (সুগেভিঃ পথিভিঃ দেবান্ এত্ এষি) উত্তম, সুখে গমনযোগ্য পথ ও উপায় দ্বারা উত্তম আচরণসম্পন্ন ও যোদ্ধাদের প্রাপ্ত হও। (তে হরী পৃষতী যুঞ্জা অভূতাম্) রথে হৃষ্টপুষ্ট অশ্বদের ন্যায় দুই যোগ্য নায়ক নিযুক্ত হউক। (বাজী) ঐশ্বর্যবান জ্ঞানী পুরুষ (রাসভস্য ধুরি উপঅস্থাত্) উপদেষ্টা ও আজ্ঞাদাতা রূপে ধুরা অর্থাৎ মুখ্য পদে উপস্থিত করুক।

মহর্ষি দয়ানন্দের সংস্কৃতভাষ্যের আধারে বাংলাভাষ্য পদার্থ সহঃ (ঋ০ ১।১৬২।২১)

পদার্থঃ হে বিদ্বান্‌! যদি যে (তে) তোমার মন বা আত্মা যথাযথভাবে কাজ করিতে (যুঞ্জা) যুক্ত (হরী) ধারণ ও আকর্ষণ-গুণসম্পন্ন (পৃষতী) বা সিঞ্চনকারী জলের গুণবলে রাখতে (অভূতাম্) হয়, তার যে (উপঅস্থাত্) উপস্থান করে বা (রাসভস্য) শব্দ করে রথ আদির (ধুরি) ধুরিতে (বাজী) বেগ তূল্য হয়, তখন (এতৎ) এই উক্ত রূপ পেয়ে (ন, বৈ ম্রিয়সে) তারা মরে না (ন, উ) অথবা তুমি কখনও (রিষ্যসি) কাউকে হত্যা করো না এবং (সুগেভিঃ) সুখের সাথে যাদের দ্বারা যায়, সেই (পথিভিঃ) পথসমূহ থেকে (ইত্)ই (দেবান্) বিদ্বান বা ঐশ্বর্যপূর্ণ পদার্থকে (এষি) প্রাপ্ত হয়। ২১॥

ভাবার্থঃ যারা যোগাভ্যাস দ্বারা সমাহিত চিত্ত রাখে, যারা দেবদৃশ্যে যোগীজনদের দ্বারা সঠিকভাবে ধন, গুণ ও আকর্ষণ প্রাপ্ত হয় এবং ধর্মময় পথ অনুসরণ করে নিজের আত্মাকে পরমাত্মায় যুক্ত করে, তারা মুক্তি (মোক্ষ) লাভ করে। ২১॥


ঋগ্বেদ ১।১৬২।২২ মন্ত্রের পদার্থ সহঃ ভাবার্থ (দয়ানন্দজী কৃত সংস্কৃতভাষ্যের আধারে বাংলায়)


পদার্থঃ- যেমন এটি (বাজী) বেগবান অগ্নি (নঃ) আমাদের (সুগভ্যম্) সুন্দর গৌ-এর মধ্যে বিদ্যমান পদার্থ, যা (স্বশ্ব্যম্) সুন্দর ঘোড়ায় উৎপন্ন হয়, সেই (পুংসঃ) পুরুষত্ববলে (পুত্রান্) পুত্রদের (উত) এবং (বিশ্বাপুষম্) সবার পুষ্টি প্রাদানকারী (রযিম্) ধনকে (কৃণোৎ) দেয়, সেই (অদিতিঃ) অখণ্ডিত, কোনো নাশক শক্তি দ্বারা নষ্ট নয় এমন, আমাদেরকে (অনাগাস্ত্বম্) পাপের প্রভাবহীন (ক্ষত্রম্) রাজ্য প্রাপ্ত হয়। সেই (হবিষ্মান্) হোমযোগ্য পদার্থে যে (অশ্বঃ) ব্যাপ্তিশীল অগ্নি (নঃ) আমাদেরকে (বনতাম্) সেবা করে, ঠিক তেমনি আমরা এটিকে সিদ্ধ করি। ২২॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার বিদ্যমান। যারা পৃথিবী ইত্যাদির জ্ঞান দ্বারা গরু, ঘোড়া এবং পুরুষ সন্তানদের সম্পূর্ণ পূর্ণতা এবং ধন সঞ্চয় করে, দ্রুতগামী অশ্বরূপ অগ্নির জ্ঞান দ্বারা রাজ্য বৃদ্ধি করে, নিষ্পাপ হয়ে সুখী হয়, এবং অন্যকেও এইভাবে করায়। ২২॥


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ঋগ্বেদ ১০/১৯১/১

সংসমিদ্যুভসে বৃষন্নগ্নে বিশ্বান্যর্য আ।  ইळস্পদে সমিধ্যসে স নো বসূন্যা ভর॥ ঋগ্বেদ ১০।১৯১।১ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজকৃত পদার্থ ভাষ্যঃ (বৃষণ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ