রুচিরসি রোচোऽসি। স যথা ত্বং রুচ্যা রোচোऽস্যেবাহং পশুভিশ্চ ব্রাহ্মণবৰ্চসেন চ রুচিষীয়॥
পদার্থঃ [হে পরমেশ্বর !] তুমি (রুচিঃ) প্রীতিরূপ (অসি) হও, তুমি (রোচঃ) প্রীতিকর (অসি) হও। (সঃ ত্বম্) সেই তুমি (যথা) যেমন (রুচ্যা) প্রীতি সহিত (রোচঃ) প্রীতিকর (অসি) হও, (এব) তেমনই (অহম্) আমি (পশুভিঃ) প্রাণীদের সহিত (চ চ) এবং (ব্রাহ্মণবর্চসেন) ব্রাহ্মণদের [ব্রহ্মজ্ঞানীদের] সমান তেজ সহিত (রুচিষীয়) রুচি করি ॥২১॥
ভবার্থঃ যেমন পরমাত্মা আমাদের সাথে প্রীতি করে অনেক উপকার করেন, তেমনই আমরা মহাত্মাদের সমান সব প্রাণীদের এবং বেদজ্ঞান দ্বারা প্রীতি করে সদা উপকার করি ॥২১॥
টিপ্পণীঃ [রুচিঃ, রোচঃ=রুচ্ দীপ্তৌ, অভিপ্রীতৌ চ। সংসারের উৎপত্তি, স্থিতি, প্রলয়ে পরমেশ্বরের কোনো স্বার্থ নেই, জীবাত্মার ভোগ এবং অন্ত/শেষে অপবর্গ অর্থাৎ মোক্ষের নিমিত্ত/জন্য, প্রেমবশ হয়ে, সে উৎপত্তি আদি কার্য করে। "তত্ত্বসমাস" সাংখ্য সূত্রে সূত্র রয়েছে "অনুগ্রহ সর্গঃ"। (তত্ত্ব সমাস, সূত্র ১৭) অর্থাৎ সৃষ্টি পরমেশ্বরের কেবল অনুগ্রহ, দয়া এবং প্রেমের প্রদর্শন। উপাসকও সকলের প্রেমপাত্র হতে চায়। এরজন্য সে পরমেশ্বরের কাছে পশুদের এবং ব্রাহ্মণবর্চসের যাচনা করে যাতে সে পশুদের দ্বারা সর্বোপকার করতে পারে, তথা ব্রহ্মবেত্তাদের তেজ সমান তেজ প্রাপ্ত করে সকলের আধ্যাত্মিক উন্নতি করে তাঁদের প্রেমের পাত্র হতে পারে। রুচিঃ- Liking, love (আপ্টে)]
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ