ঋষিঃ অর্থবা। দেবতাঃ বাচষ্পতিঃ। ছন্দঃ চতুষ্পদা বিরাডুরোহতী
উপহুতো বাচস্পতিরুপাল্মান্ বাচস্পতি হ্বয়তাম্। সংশ্রুতেন গমে মহি মা শ্রুতেন বি রাধিয়ি।
उप॑हूतो वा॒चस्पति॒रुपा॒स्मान्वा॒चस्पति॑र्ह्वयताम्। सं श्रु॒तेन॑ गमेमहि॒ मा श्रु॒तेन॒ वि रा॑धिषि ॥
পদার্থঃ (বাচস্পতিঃ) বাণীর রক্ষক পরমেশ্বর (উপহুতমঃ) নিকটে আহূত হইয়াছেন (বাচস্পতিঃ) বাণীর পালক (অল্মান্) আমাদিগকে (উপহ্বয়তাম্) নিকটে আহ্বান করুন। (শ্রুতেন) বেদ বিজ্ঞান দ্বারা (সংগমেমহি) আমরা মিলিত হই (শ্রুতেন) বেদ বিজ্ঞানের বলে (মা বি রাধিষি) আমি পৃথক হইব না।। দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রী
ভাবার্থঃ বেদবাণীর রক্ষক পরমাত্মাকে ব্রহ্মচারিগণ হৃদয়ের অভ্যন্তরে আহ্বান করিয়াছেন। আমাদিগকেও সেই বাণীর রক্ষক তাহার অভ্যন্তরে করিয়াছেন। বেদবিজ্ঞানের সাহার্যে আমরা তাহার সহিত মিলিত হই এবং বেদবিজ্ঞান বলেই তাহার নিকট হইতে পৃথক হইব না।।৪।।
পরমাত্মা সর্বত্রই পূর্ণভাবে বিরাজমান। তিনি দূরেও নহেন পৃথকও নহেন। স্থান বা কালের দূরত্ব তাহাতে সম্ভব না। অজ্ঞানতার ব্যবধান তাহার নিকট হইতে আমাদিগকে দূরে রাখে। বেদবিদ্যা বলে সেই ব্যবধান দূরীভূত হয়।। দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রীক্ষেমকরণ ত্রিবেদীকৃত পদার্থঃ (বাচস্পতিঃ) বাণীর স্বামী, পরমেশ্বরকে (উপহূতঃ) সমীপে আহূত করা হয়েছে, (বাচস্পতিঃ) বাণীর স্বামী (অস্মান্) আমাদের (উপহ্বয়তাম্) সন্নিকটে/সমীপে আহ্বান করবেন। (শ্রুতেন্) বেদবিজ্ঞানের মাধ্যমে/দ্বারা (সঙ্গমেমহি) আমার যেন সংযুক্ত থাকি। (শ্রুতেন্) বেদবিজ্ঞান থেকে যেন (মা বিরাধিষি) আমি আলাদা না হয়ে যাই ॥৪॥
ব্রহ্মচারীগণ পরমেশ্বরের আবাহন করে নিরন্তর অভ্যাস ও সৎকারের দ্বারা বেদাধ্যয়ন করুক, যাতে আচার্যের প্রীতিপূর্বক পাঠ করানো ব্রহ্মবিদ্যা তাঁদের হৃদয়ে স্থির হয়ে যথাযোগ্য প্রয়োগের উপযোগী হয় ॥ এই সূক্তের এটাও তাৎপর্য যে, জিজ্ঞাসু ব্রহ্মচারী নিজের শিক্ষক আচার্যের সদা শ্রদ্ধা, সৎকার করে যত্নপূর্বক বিদ্যাভ্যাস করুক, যাতে সেই শাস্ত্র তাঁদের হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে থাকে ॥৪॥ ক্ষেমকরণ ত্রিবেদী
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ