ছান্দোগ্য উপনিষদ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

14 April, 2024

ছান্দোগ্য উপনিষদ

 

ছান্দোগ্য উপনিষদ


সামবেদ-তাণ্ড্য শাখার-
ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অন্তর্গত

শঙ্কর ভাষ্য ও বৈদিক ভাষ্য সহঃ

পরিচয়

ছান্দোগ্য উপনিষৎ সামবেদোক্ত ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অন্তর্ভূত। কেহ কেহ মনে করেন, ইহা সামবেদীয় কৌসুমীশাখার অন্তর্ভূত, কিন্তু এ বিষয়ে নিঃসন্দিগ্ধ প্রমাণ কিছুই পাওয়া যায় না।

উপনিষীদতি প্রাপ্নোতি ব্রহ্মায়ভাবোহনয়া" এই ব্যুৎপত্তি অনুসারে উপনিষৎশব্দে ব্রহ্মপ্রতিপাদক গ্রন্থকে বুঝায়। এই গ্রন্থে সম্যক্ জ্ঞানলাভ করিতে পারিলে ব্রহ্মায়ৈকা জ্ঞান লাভ হয়। "ছন্দঃ সামবেদং গায়তি ইতি ছন্দোগঃ সামবেদাধ্যায়ী বিপ্রাদিঃ" ছন্দোগ শব্দের অর্থ সামবেদ অধ্যয়নকারী ব্রাহ্মণাদিবর্ণ- ত্রয়, এই ইন্দাগদিগের মন্ত্র-ব্রাহ্মণাত্মক শাস্ত্রবিশেষকে হান্দোগ্য উপনিবৎ বলে সুগভীর। আধ্যাত্মিক ভাবযুক্ত এই উপনিষৎখানি বিদ্বজ্জনগণের নিকট বিশেষরূপ সমাদৃত। ইহার ভাব। যেমন সরল, তেমনই শ্রুতিমধুর, ইহার সমাবেশের সুশৃঙ্খলতা, অনন্যসাধারণ উপদেশপরিপাট্য তত্ত্বজিজ্ঞাসুমাত্রেরই চিত্তকে বিমুগ্ধ ও সমাকৃষ্ট করে। সর্বসাধারণের অনুষ্ঠেয় কর্ণ হইতে আরম্ভ করিয়া মুমুক্ষুদিগের একাত্ত কাম্য ব্রহ্মজ্ঞান লাভের উপায় পর্যন্ত অতি সরলভাষায় সুনিপুণভাবে উপদিষ্ট হওয়ায় এই উপনিষৎ চতুরাশ্রমীর পক্ষেই বিশেষ উপযোগী।

উপনিষৎ-সমূহের মুখ্য উদ্দেপ্তই হইতেছে-সদুপদেশের দ্বারা বিষয়াসক্ত মানবদিগকে ব্রহ্মাভিমুখীন করা, ভোগ পরিণামবিরস, ত্যাগ আপাততঃ বিরস হইলেও পরিণামে যে সুখপ্রদ, ইহাই প্রতিপাদন করিয়া, মানবগণ যাহাতে ভোগবিমুখ হয়, তদ্রূপযোগী উপদেশ দেওয়াই উপনিষদ্বিপ্তার উদ্দেশ। তবে ভোগবিমুখ হইতে হইবে যে, সকলকে সংসার ত্যাগ করিয়া একেবারে বনবাসীই হইতে হইবে, ইহাও উপনিষৎ বলেন নাই, গৃহস্থাশ্রমে বাস করিয়াও অনাসক্ত- ভাবে কৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারাও মোক্ষলাভ করা যায়, ইহাই বলিয়াছেন। জ্ঞান বা ব্রহ্মবিয়া অপেক্ষা কৰ্ম্ম হীন হইলেও কর্ম্মের হীনতা প্রচার করিয়া কর্মাসক্ত মানবগণকে কর্ম্মে বিমুখ করিবার কোন প্রয়াসও করেন নাই; পরন্ত বৈধ কর্ম্মানুষ্ঠানের দ্বারাই যে ক্রমণ: জানলাভ করা যায়, ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিতে হইলে কি ভাবে ফর্ম্মানুষ্ঠান করা কর্তব্য, এ সমস্ত বিষয়ের উপদেশ উপনিষদ শাস্ত্রে বর্ণিত হইয়াছে॥

প্রথম প্রপাঠকে-

প্রথম খণ্ডে-উদ্‌দীথ উপাসনার বিধি, উদ্‌দীথের স্বরূপ ও প্রণবের প্রশংসা।

দ্বিতীয় খণ্ডে-উদ্‌দীথের আধ্যাত্মিকতাপ্রদর্শন, দেবাসুরসংগ্রামবর্ণনা, দেব ও অনুরশব্দের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা, দেবগণ কর্তৃক নাসিকাদি প্রাণসমূহকে উদ্‌দীখরূপে উপাসনাকরণ, অসুরগণ কর্তৃক তাহাদের পাপবিদ্ধ হওয়া ও তজ্জন্য সেই প্রাণসমূহের দুর্গতি ভোগ। অনন্তর দেবগণ কর্তৃক মূখ্য প্রাণকে উদ্‌দীথরূপে উপাসনাকরণ, মুখ্য প্রাণ কর্তৃক অসুরগণের পরাজয় ও মুখ্য প্রাণের শ্রেষ্ঠতা প্রতিপাদন। অঙ্গিরা বৃহস্পতি ইত্যাদি ঋষিগণ কর্তৃক মুখ্য প্রাণকে উদ্‌দীথরূপে উপাসনাকরণ উদ্‌দীপ্ত উপাসনার ফল।

তৃতীয় খণ্ডে-উদ্‌গীদের আধিদৈবিকত্ব প্রদর্শন। উদ্‌দীথ মনে করিয়া সূর্য্য ব্যান বায়ু ইত্যাদির উপাসনার কর্তব্যতা, ব্যান বায়ুর কার্য্যনির্দেশ, উদ্‌দীথ এই শব্দের প্রত্যেক অক্ষরের অর্থপ্রদর্শন ও ঐ অর্থানুযায়ী উপাসনার ফল প্রদর্শন। কর্ম্মফলের উৎকর্ষসাধনা উপাসনা, সামযাগের অঙ্গস্বরূপ মন্ত্র ও ছন্দঃ প্রভৃতি বিষয়ে দৈবতচিন্তার উপদেশ।

চতুর্থ খণ্ডে-ওঙ্কারোপাসনার কর্তব্যতানির্দেশ, মৃত্যুভয়ে ভীত দেবগণ কর্তৃক বৈদিক কর্মানুষ্ঠান, তাহাতেও মৃত্যুভয় অতিক্রম করিতে না পারায় ওঙ্কারের উপাসনা দ্বারা উক্ত ভয় হইতে অব্যাহতি লাভ। মন্ত্রসমূহের ছন্দ নাম হইবার কারণ প্রদর্শন। ওঙ্কারোপাসনার ফল প্রদর্শন। 

পঞ্চম খণ্ডে-প্রকারান্তস্তরে উদ্‌দীখোপাসনা নির্দেশ। কৌবীতকী ঋষি ও তাঁহার পুত্রের কথোপকথন, প্রণব ও উদ্‌দীখের একত্বনির্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

ষষ্ঠ খণ্ডে-প্রকারান্তরে উদ্‌দীখোপাসনার বিবরণ, পৃথিবী প্রভৃতি মহাভূক্ত সমূহের ঋবেদাদিস্বরূপত্বকথন, ঐরূপ উক্তির হেতুনির্দেশ। চন্দ্র-সূর্য্য-নক্ষত্রা- দিতে সামবেদাদি চিন্তার উপদেশ, আদিত্যের শুরু ও কৃষ্ণ আভার সামস্বকখন। আধিদৈবিক উপাসনার ফল।

সপ্তম খণ্ডে-আধ্যাত্মিক উপাসনা বর্ণনা-প্রসঙ্গে বাক্, মুখ্যপ্রাণ, চক্ষুঃ, ছায়ায়া ইত্যাদিতে ঋক্ সামাদি দৃষ্টিতে চিন্তা করার উপদেশ, ঈশ্বরোপাসকগণের ধনবান হওয়ার বিবরণ, উপাসনার ফলকীর্তন।

অষ্টম খণ্ডে-অন্য ভাবে উদ্‌দীখোপাসনা প্রসঙ্গে উদ্‌দীথাভিজ্ঞ শিলক, চৈকি- তায়ন ও প্রবাহণ এই তিন জনের উদ্‌দীপবিঘ্নাবিষয়ে আলোচনা, শিলক কর্তৃক চৈকিতায়নকে সামাদির গতিবিষয়ক প্রশ্ন ও চৈকিতায়ন কর্তৃক তাহার উত্তর প্রদান। চৈকিতায়ন কর্তৃক শিলককে সামাদির প্রতিষ্ঠাবিষয়ে প্রশ্ন, শিলক কর্তৃক তাহার উত্তর প্রদান।

নবম খণ্ডে-শিলক কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া প্রবাহণের পৃথিবী প্রভৃতি লোকের আশ্রয়বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর প্রদান প্রসঙ্গে আকাশাখ্য ব্রহ্মের সর্ব্ব- লোকাস্রয়ত্বনির্দেশ। পরোবরীয়স্বাদিগুণসম্পন্ন পরমাত্মস্বরূপ উদ্‌দীধোপাসনার ফলনির্দেশ। শৌনক অভিধন্বনামক ঋষি কর্তৃক উদরশাণ্ডিল্য নামক শিষ্যকে উপদেশদানের প্রসঙ্গ।

দশম খণ্ডে-উষস্তি নামক ব্রাহ্মণ ও তাঁহার বালিকা স্ত্রীর আখ্যায়িকা, বজ্রাঘাতে কুরুদেশ দগ্ধ ও তজ্জন্য দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হওয়ায় ক্ষুধার্ত ঐ ব্রাহ্মণের স্ত্রী সমভিব্যাহারে ইভ্যগ্রামে গমন ও সেস্থানে কোন হস্তিপালখে 'পঙ্গু মাহুত) উচ্ছিষ্ট পৰ্য্যুষিত মাষকলায় সিদ্ধ ভক্ষণ, তাহার উচ্ছিষ্ট জল পান করিতে সম্বীকৃতি, সমীপস্থ রাজার যজ্ঞভূমিতে গমন, সেই যজ্ঞস্থলে প্রস্তোতা (প্রস্তাবপাঠক), উদ্‌দাতা (উদ্‌দীৎপাঠক) ও প্রতিহর্তার (প্রতিহারপাঠক) প্রতি প্রশ্ন, প্রস্তোতা প্রভৃতির উত্তরদানে অক্ষমতা ও তৃষ্ণীস্তাবে অবস্থান।

একাদশ খণ্ডে-উক্ত রাজার সহিত উধস্তির কথোপকথন ও রাজা কর্তৃক ঋত্বিক্ পদে বরণ, উষস্তি প্রস্তোতা প্রভৃতিকে যে প্রশ্ন করিয়া তাহার উত্তর পান নাই, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান; প্রস্তাব, উদ্‌দীথ ও প্রতিহারের অনুগত দেবতাকে না জানিয়া প্রস্তাবাদি পাঠ করিলে তাহার অনিষ্টকর ফল প্রদর্শন।

দ্বাদশ খণ্ডে-শৌব উদ্‌গীথ অর্থাৎ কুকুররূপধারী ঋষিগণ কর্তৃক উদগীথ গান, বক ও মাৰ নামে দুই জন ঋষি উদ্‌দীথ অধ্যয়নের নিমিত্ত নির্জন স্থানে গমন করিয়া সাম গান করিলে, তাঁহাদের সামগানে সন্তুষ্ট হইয়া অনুগ্রহ প্রদর্শনের নিমিত্ত কোন ঋষি খেতবর্ণ কুকুরের রূপ ধারণ করিয়া তাঁহাদের নিকট উপস্থিত হইয়াছিলেন, ও আরও কয়েক জন ঋষি ঐরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুকুররূপ ধারণ করিয়া সেইস্থানে উপস্থিত হইয়াছিলেন। পরদিন প্রাতঃকালে সকলে সমবেত হইয়া অন্নলাভের নিমিত্ত 'হিং'কার গান করিয়াছিলেন, বক ও গ্লাব কর্তৃক সেই হিষ্কার ত্রয়োদশ খণ্ডে-রখস্তর নামক সামে প্রসিদ্ধ 'হাউকার' 'হাইকার' ইত্যাদি স্তোভনামক সামের উপাসনাবিধি বর্ণনা, পৃথিবী, বায়ু, চন্দ্র, হাউকার, হাইকার," অথকার ইত্যাদি স্তোভাক্ষরসমূহের বিন্যাস বা আরোপ পূর্ব্বক উপাসনা, উক্তপ্রকার উপাসনার ফলনির্দেশ।

দ্বিতীয় প্রপাঠকে-

প্রথম খণ্ডে সমস্ত সামের উপাসনার সাধুত্বনির্দেশ, সাম ও অসাম শব্দের ব্যবহারিক অর্থ, সামের সাধুতা সম্বন্ধে চিন্তা করিয়া উপাসনার ফল।

দ্বিতীয় খণ্ডে -পৃথিব্যাদি লোকদৃষ্টিতে হিষ্কারাদি পঞ্চবিধ সামের উপাসনার কর্তব্যতানির্দেশ। ছ্যুলোকাদিতে হিঙ্কারাদি পঞ্চবিধ সামের উপাসনার কর্তব্যতা- নিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

তৃতীয় খণ্ডে-বৃষ্টিতে পঞ্চবির সামের উপাসনা, পূর্বদিক্ হইতে প্রবাহিত বায়ুতে হিস্কার, মেঘে প্রস্তাব ইত্যাদি দৃষ্টিতে সামোপাসনার কর্তব্যতানিন্দেশ। পঞ্চবিধ সামাক্তির নাম। উক্ত উপাসনার ফল।

চখণ্ডে-বর্ব্ববিধ জলে পঞ্চবিদ সামের উপাসনা, মেঘাদিতে হিঙ্কারাদি দৃষ্ট করিবার উপদেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

পঞ্চম খণ্ডে-বসন্তাদি পঞ্চ ঋতুদৃষ্টিতে হিঙ্কারাদি পঞ্চবিধ সামোপাসনার কর্ত্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

ষষ্ঠ খণ্ডে-ছাগ-মেবাদি পশুদৃষ্টিতে হিস্কারাদি পঞ্চবিধ সামোপাসনার কর্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

সপ্তম খণ্ডে-পঞ্চবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণ ও বাগাদি ইন্দ্রিয়দৃষ্টিতে পরোবরীয় স্বাদিগুণবিশিষ্ট হিস্কারাদি পঞ্চবিধ সামোপাসনার কর্তব্যভানির্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

অষ্টম খণ্ডে-সপ্তবির সামের উপাসনা, বাগদৃষ্টিতে হিষ্কারাদি সপ্তবিধ সামো- পাসনার কর্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

নবম খণ্ডে-আদিত্যদৃষ্টিতে সপ্তবিধ সামের উপাসনার কর্তব্যতানিদ্দেশ, আদিত্যে সামবুদ্ধি স্থাপনের হেতুপ্রদর্শন। উক্ত উপাসনার ফল।

দশম খণ্ডে-সপ্তবিধ সামের মধ্যে মৃত্যুভয়নিবারক পরস্পর সমানাক্ষর- বিশিষ্ট হিঙ্কারাদি সপ্তবিধ সামোপাসনার কর্তব্যতানিন্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

একাদশ খণ্ডে-নামোল্লেখ পূর্ব্বক সপ্তবিধ সামের উপাসনা, মন, বাক্ ইত্যাদি দৃষ্টিতে হিষ্কারাদি সপ্তবিধ সামোপাসনার কর্তব্যতানিদেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

দ্বাদশ খণ্ডে-অগ্নিমম্বনাদিতে যডুবিধ সামের উপাসনা, যজ্ঞীয় অগ্নি প্রথা- পনের নিমিত্ত কাঠঘর্ষণাদিবিষয়ে হিষ্কারাদি ষড়বিধ সামোপাসনার কর্তব্যতা- নির্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

ত্রয়োদশ খণ্ডে-স্ত্রী-পুরুষসংযোগবিষয়ে বড় বিধ সামের উপাসনা, স্ত্রী-পুরুষে

পরস্পর সঙ্গত হইবার বাসনায় পুরুষ কর্তৃক সঙ্কেতাদিবিষয়ে হিষ্কারাদি ষড় বিধ সামোপাসনার কর্তব্যতা নির্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

চতুর্দশ খণ্ডে উদীয়মান সূর্য্য, উদিত সূর্য্য ইত্যাদি দৃষ্টিতে হিস্কারাদি সামো- পাসনার কর্তব্যতানিদেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

পঞ্চদশ খণ্ডে - সজলমেঘের বিভিন্ন অবস্থায় হিষ্কারাদি সামোপাসনার কর্তব্যতানির্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল!

ষোড়শ খণ্ডে- প্রকারান্তরে বসন্তাদি পঞ্চ ঋতুতে হিষ্কারাদি সামোপাসনার কর্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

সপ্তদশ খণ্ডে-প্রকারান্তরে পৃথিবী অন্তরীক্ষ ইত্যাদি দৃষ্টিতে হিঙ্কারী।মো- পাসনার কর্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

অষ্টাদশ খণ্ডে-প্রকারান্তরে ছাগ-মেবাদি পশুদৃষ্টিতে হিঙ্কারাদি সামো-পাসনার কর্তাভানির্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

একোনবিংশ খণ্ডে-হজ্ঞাযজ্ঞীয় উপাসনাবিষয়ে লোম 'হক্ ইত্যাদি দৃষ্টিতে হিষ্কারাদি সামোপনার কর্ত্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

বিংশ খণ্ডে-রাজনাধ্য সামবিষয়ে অগ্নি বাবু ইত্যাদি দৃষ্টিতে হিস্কারাদি সামো- পাসনার কর্তব্যতানিদ্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

একবিংশ খণ্ডে -ত্রয়ী বিদ্যা (বেদবিদ্যা) ইত্যাদি দৃষ্টিতে হিষ্কারাদি সাধো- পাসনার কর্তব্য তানিন্দেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

দ্বাবিংশ খণ্ডে-সামোপাসনা প্রসঙ্গে উদ্ভ্রাতার সঙ্গীতবিদ্যাবিষয়ে উপদেশ; স্বরভেদানুসারে বিশের বিশেষ দেবতাবিষয়ে এঐ সমস্ত সামের প্রয়োগবিষয়ে উপদেশ; দেবগণ, পিতৃগণ, মনুষ্যগণ ও পশুগণের নিমিত্ত সামগান করার উপদেশ; স্বরবর্ণ, উন্নবর্ণ ও স্পর্শবর্ণবিষয়ক উপদেশ। উক্ত উপাসনার ফল।

ত্রয়োবিংশ খণ্ডে-যজ্ঞ অধ্যয়ন দান, তপস্তা ও ব্রহ্মচর্যাশ্রম এই তিন প্রকার ধর্ম্মন্তগুনিরূপণ: অমৃতত্ব লাভ করিতে হইলে বন্নিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন, তাহার নিজগণ। প্রজাপতির লোকাদিবিষয়ে তপা ও তাহার ফলে ত্রয়ীবিদ্যা এবং ব্যাহৃতি প্রভৃতির আবির্ভাব বর্ণন।

চলবে >>

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ঋগ্বেদ ১০/৩৪/১৪

  মিত্রম্ কৃণুধ্বম্ খলু মূলতা নো মা নো ঘোরেণ চরতাভি ধৃষ্ণু। নি বো নু মন্যুর্বিশতামরাতিরন্যো বভূণম্ প্রসিতৌ ন্বস্তু।। ঋগ্বেদ-১০/৩৪/১৪ পদার্থ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ