শ্বেতাশ্বতর ২/১৬ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

29 March, 2024

শ্বেতাশ্বতর ২/১৬

এষ হ দেবঃ প্রদিশোহনু সর্বাঃ পূর্বো হ জাতঃ স উ গর্ভে অন্তঃ।

স এব জাতঃ স জনিষ্যমাণঃ প্রত্যঙ্ জনাংস্তিষ্ঠতি সর্বতোমুখঃ ॥

শ্বেতাশ্বতর-২/১৬।
(যজু০ ৩২।৪)
পদার্থঃ হে মনুষ্য! (এষঃ) এই (হ) প্রসিদ্ধ (দেবঃ) পরমাত্মদেব (সর্বাঃ) সকল (প্রদিশঃ) দিশা-উপদিশা, অর্থাৎ সর্বদিকে (অনু) অনুকূলতা দ্বারা ব্যাপ্ত হয়ে আছেন (পূর্বঃ) পূর্ব কল্পের সৃষ্টিতে (সঃ উ) তিনিই (গর্ভে) [সকলের] অন্তঃকরণের (অন্তঃ) মধ্যে (হ) নিশ্চিতরূপে (জাতঃ) প্রকট হয়েছেন (সঃ এব) তিনিই (জাতঃ) সৃষ্টিকে নির্মাণ করে প্রকট হয়েছেন [এবং] (সঃ) তিনি (জনিষ্যমাণঃ) ভবিষ্যৎ কল্পের সৃষ্টিতেও প্রকট হবেন। [তিনি] (সর্বতোমুখঃ) সর্বত্র মুখ- বিশিষ্ট [সকলের অন্তর্যামীরূপে উপদেষ্টা] (প্রত্যঙ্) প্রত্যেক (জনান) জীবের মধ্যে (তিষ্ঠতি) অবস্থিত ॥১৬॥

সরলার্থঃ হে মনুষ্য! এই প্রসিদ্ধ পরমাত্মদেব সকল সর্বদিকে অনুকূলতা দ্বারা ব্যাপ্ত হয়ে আছেন। পূর্ব কল্পের সৃষ্টিতে তিনিই সকলের অন্তঃকরণের মধ্যে নিশ্চিতরূপে প্রকট হয়েছেন। তিনিই সৃষ্টিকে নির্মাণ করে প্রকট হয়েছেন এবং ভবিষ্যৎ কল্পের সৃষ্টিতেও প্রকট হবেন। তিনি সর্বত্র মুখ-বিশিষ্ট (সকলের অন্তর্যামীরূপে উপদেষ্টা) এবং প্রত্যেক জীবের মধ্যে অবস্থিত।১৬॥

ব্যাখ্যাঃ প্রত্যেক সৃষ্টির শুরুতে পরমাত্মা জগৎকে রচনা করে সেই সৃষ্টিতে প্রকট হন। মনু এই বিষয়ে বলেছেন- “ততঃ স্বয়ম্ভূর্ভগবানব্যক্তো ব্যঞ্জয়য়িদম্। মহাভূতাদিবৃত্তৌজাঃ প্রাদুবাসীয় ডমেনদঃ।। (মনুস্মৃতি ১।৬)” অর্থাৎ 'তম'-রূপ প্রকৃতির প্রেরক স্বয়ম্ভূ পরমাত্মাই অগ্নি, বায়ু আকাশাদি মহাভূত সমূহের উৎপাদক। তিনি এই সম্পূর্ণ জগৎকে ব্যক্ত অবস্থায় এনে নিজেই সৃষ্টিতে প্রকট (প্রকাশিত) হলেন। পরমাত্মার প্রকট হবার অভিপ্রায় হলো, কার্যরূপ জগৎকে দেখেই এর কর্তা অর্থাৎ পরমাত্মার অস্তিত্ব সম্পর্কে অনুভব হয়। এজন্য জগতের প্রকাশাবস্থাই পরমাত্মার প্রকটিত অবস্থা এবং জগতের প্রলয়ই পরমাত্মার অপ্রকট অবস্থা। এভাবে পরমাত্মা জগৎকে উৎপন্ন করার পর স্বয়ং প্রকাশিত হয়ে, সকল দিশাতে পরিব্যাপ্ত আছেন। তিনি শুধু এই জগতেই নয়, বরং সকল প্রাণীর হৃদয়াকাশেও ব্যাপ্ত হয়ে অন্তর্যামীরূপে বিদ্যমান। তিনি চক্ষু-কর্ণাদি জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং হস্ত-পদাদি কর্মেন্দ্রিয়ের সহায়তা ছাড়াই জগতের সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়াদি কার্য করছেন এবং সকল প্রাণীর হৃদয়ে স্থিত আছেন। তিনি কল্পের প্রারম্ভে সৃষ্টি রচনা করে এই সৃষ্টিতে যেমন প্রকট হয়েছেন, তেমনই ভবিষ্যৎ কল্পেও প্রকট হবেন। তিনি কেবল ধ্যানশীল ব্যক্তির দ্বারাই জানার যোগ্য, অন্য কারো দ্বারা নয় ॥১৬॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ছান্দোগ্য উপনিষদ

  সামবেদ-তাণ্ড্য শাখার- ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অন্তর্গত শঙ্কর ভাষ্য ও বৈদিক ভাষ্য সহঃ পরিচয় ছান্দোগ্য উপনিষৎ সামবেদোক্ত ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ