यस्त॑ ऊ॒रू वि॒हर॑त्यन्त॒रा दम्प॑ती॒ शये॑ । योनिं॒ यो अ॒न्तरा॒रेळ्हि॒ तमि॒तो ना॑शयामसि ॥
पदार्थ
(यः) जो (ते) हे स्त्रि ! तेरे (ऊरु) जङ्घों को (विहरति) पृथक्-पृथक् करता है, संकुचित नहीं होने देता या जङ्घों के मध्य में चलता रहता है (दम्पती-अन्तरा) पति-पत्नी के समागम के अवसर पर (शये) अवरोधकरूप में ठहरता है (यः) जो (योनिम्-अन्तरा) योनि के अन्दर (आरेळ्हि) वीर्य को चाट लेता है-खा लेता है (तम्) उसे (इतः-नाशयामसि) यहाँ से नष्ट करते हैं ॥
भावार्थ
जो रोगकृमि स्त्री को संकोचित नहीं होने देता या उसके बीच में रेंगता है, जो पति-पत्नी दोनों के समागम के अवसर पर आ घुसता है, योनिस्थान को चाट लेता है, खा लेता है, उस रोगकृमि को नष्ट करना चाहिये ॥
যস্ত উরু বিহরত্যন্তরা দম্পতী শয়ে
যোনিং যো অন্তরারেড়ুহি তমিতো নাশয়ামসি।।৪।।
পদার্থঃ (যঃ) যে (তে) হে স্ত্রী! তোমার (উরু) জঙ্ঘাকে (বিহরতি) পৃথক -পৃথক করে, সংকুচিত হতে দেয় না বা জঙ্ঘার মধ্যে চলতে থাকে (দম্পতী-অন্তরা) পতি-পত্নীর সমাগমের অবসরে (শয়ে) অবরোধরূপে অবস্থান করে (যঃ) যা (যোনিম্-অন্তরা) যোনির অব্যন্তরে (আরোলিহ) বীর্যকে লেহনপূর্বক ভক্ষণ করে নেয় (তম্) সেটিকে (ইতঃ-নাশয়ামসি) এখান থেকে নষ্ট করে দেই।।৪।।
ভাবার্থঃ যে রোগকৃমি স্ত্রীকে সংকুচিত হতে দেয় না বা তাহার মাঝে চলতে থাকে, যা পতি-পত্নীর উভয়ের সমাগমের অবসরে প্রবেশ করে, যোনিস্থানকে লেহন করে, ভক্ষণ করে সেই রোগকৃমিকে নষ্ট করা উচিত।।৪।।
ভাষ্যকারঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যামার্তণ্ড
অপপ্রচারঃ অপপ্রচারকগণ মনে করেন যে কোনো কৃমি স্ত্রীর যোনিপ্রদেশে প্রবেশ করে বীর্যকে ধ্বংস করে দিতে পাড়ে না!!!
জবাবঃ কাব্যের আলংকারিক উপমা বিষয়ে অজ্ঞ ব্যক্তিরাই বেদ মন্ত্রের আলংকারিক ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়। মন্ত্রে কৃমি বীর্যকে লেহনপূর্বক ভক্ষণ করে এটা আলংকারিক ভাবে বলা হয়েছে। যেমনঃ পবিত্র সামবেদে বলা হয়েছে "ঈশ্বর প্রলয়কালে জগতকে ভক্ষণ করে নেন "- এর মানে এই নয় যে ঈশ্বর ভাতের মতো করে জগতকে খেয়ে নেন। এটার অর্থ প্রলয়কারে ঈশ্বর জগতকে ধ্বংস করে দেন। একইভাবে ঋ০ (১০.১৬২.৪) মন্ত্রে কৃমি বীর্যকে লেহন করে বা ভক্ষণ করে কথাটির মর্মার্থ হলো কৃমি বীর্যকে ধ্বংস করে দেয় বা অকার্যকর করে দেয়। ঋগ্বেদের ইংরেজি অনুবাদক ড. তুলশীরাম শর্মার অনুবাদ দেওয়া হলো মন্ত্রটির - Whatever disturbs your thighs, interferes with the conjugal relation of the wife and husband, disturbs the couple in sleep or 👉 destroys the seed and the embryo in the womb, we destroy and eliminate from here.
তুলশীরামজী এখানে স্পষ্ট " destroys the seed " লিখেছেন। এখন আমরা এই সূক্তের ২ নং মন্ত্রটির অনুবাদ নিরুক্ত হতে দেখে নিব - "যস্তে গর্ভমমীবা দুর্ণামা যোনিমাশয়ে"।। ঋগ্বেদ (১০/১৬২/২)
(যঃ) যে (দুর্ণামা) ক্রিমি (তে) তোমার (গর্ভম অমীবা) গর্ভের রোগভূত বা হিংসক অর্থাৎ প্রতিবন্ধক হইয়া (যোনিন আশয়ে) যোনিপ্রদেশে অবস্থিত আছে.....।।
এর দ্বারা আমরা সুস্পষ্টভাবে বোঝতে পাড়লাম এই সূক্তে এমন কোনো রোগকৃমির কথা বলা হচ্ছে যারা নানা প্রক্রিয়ায় নারীর গর্ভধারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এবার চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে এমন একটি রোগের কথা দেখে নেয়া যাক -
Enterobius vermicularis Infection of the Uterine Endometrium in an Infertile Female
Introduction
Enterobius vermicularis is the most common human helminth infecting the intestine. Due to its low pathogenicity, infection is usually asymptomatic. Extraintestinal infections of E. vermicularis are extremely rare. The commonest extraintestinal site of infection is the female genital tract [1]. The male worm dies in the bowel during copulation, and the gravid female worm can migrate from the perianal region to the vagina and can ascend and reach peritoneum through the uterine cavity and fallopian tube. Various reports are available in the literature of the worm in the vagina, myometrium, endometrium, fallopian tube, ovary and pelvic peritoneum as well as an interesting incident of invasion of a human embryo [2–4].
Enterobius vermicularis infection is rarely reported to be associated with infertility. We report the detection of uterine endometrial E. vermicularis infestation in a woman who presented with primary infertility and subsequently conceived after treatment for the infection.
এখানে এক প্রকার female worm বা স্ত্রীকৃমির কথা বলা হচ্ছে যারা স্ত্রীর যোনি প্রবেশ বা vagina তে বাসা বেঁধে জরায়ুর পেরিটোনিয়ম গহ্বর থেকে ফেলোপিয়ান টিউবে অবস্থান করে স্ত্রীর গর্ভধারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে নারীর মাসিক নিয়মিত হলেও বা পুরুষের শুক্রাণু শক্তিশালী হলেও গর্ভধারণটা কার্যকর হয়ে ওঠে কারণ ঐ female worm বা স্ত্রী কৃমির জন্য।
Enterobiasis caused by E. vermicularis is one of the most common helminthic infestations of the cecum and adjacent gut. Ingestion of eggs present in the contaminated hands or food results in infection by this pinworm [2]. Scratching the perianal skin where the female worm has laid eggs results in hand contamination. The gravid female worm can migrate from the perianal area to the vagina and ascend through the fallopian tube to the peritoneum [3]. The worm can also pass through the intestinal wall and cause pelvic peritoneal granuloma. Such navigation by the larval and adult parasite can result in fallopian tube infiltration, tubo-ovarian abscess, salpingooophoritis or granulomata of the vulva, vagina, uterus, fallopian tubes or ovaries and rarely destruction of the human embryo [4].
অনুবাদঃ E. ভার্মিকুলারিস দ্বারা সৃষ্ট এন্টারোবিয়াসিস হল সেকাম এবং সংলগ্ন অন্ত্রের সবচেয়ে সাধারণ হেলমিন্থিক সংক্রমণের একটি। দূষিত হাতে বা খাবারে উপস্থিত ডিম খাওয়ার ফলে এই পিনওয়ার্ম দ্বারা সংক্রমণ হয় [২]। স্ত্রী কৃমি যেখানে ডিম পাড়ে সেখানে পেরিয়ানাল চামড়া আঁচড়ালে হাত দূষিত হয়। গ্র্যাভিড স্ত্রী কৃমি পেরিয়ানাল এলাকা থেকে যোনিতে স্থানান্তরিত হতে পারে এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের মাধ্যমে পেরিটোনিয়ামে যেতে পারে [3]। কৃমিটি অন্ত্রের প্রাচীরের মধ্য দিয়েও যেতে পারে এবং পেলভিক পেরিটোনিয়াল গ্রানুলোমা সৃষ্টি করতে পারে। লার্ভা এবং প্রাপ্তবয়স্ক পরজীবী দ্বারা এই ধরনের নেভিগেশন ফলোপিয়ান টিউব অনুপ্রবেশ, টিউবো-ওভারিয়ান ফোড়া, সালপিঙ্গুওফোরাইটিস বা ভালভা, যোনি, জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বাশয়ের গ্রানুলোমাটা এবং কদাচিৎ মানব ভ্রূণের ধ্বংস হতে পারে [৪]।
এসবক্ষেত্রে গর্ভধারণ হলেও তা আনসাকসেসফুল হয়। গর্ভধারণ কার্যকর হয় না। এমন কেস আছে। এই কৃমি দ্বারা সংক্রমিত মহিলা "She had twice attempted intrauterine insemination unsuccessfully elsewhere.
- সে দুইবার গর্ভধারণের চেষ্টা করছে কিন্তু অসফল হইসে। সুতরাং এক্ষেত্রে সফলতার হার ০% ।মানবভ্রূণ ধ্বংস হয় সাধারণত প্র্যাগনেন্ট হওয়ার পরে সংক্রমণ হলে। এখানে যে মহিলার উপর কেস স্টাডি করা হয়েছিল তার আগে থেকেই সংক্রমণ ছিল। যে কারণে ভ্রুণ তৈরি হওয়াটাই সম্ভবপর হচ্ছিল না। ফলে বীর্যের অপচয় বা ধ্বংস হচ্ছিল। সংক্রমণের ফলে ভ্রূণ সৃষ্টি হতে পারে না ও ধ্বংস হয় এবং কনসিভ করার পরে সংক্রমণ হলে ভ্রূণটাও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ