যজুর্বেদ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

10 June, 2021

যজুর্বেদ

যজুর্বেদ
‘যজুর্বেদ’ একটা নয়, দুইটা- ‘শুক্লযজুর্বেদ’ ও ‘কৃষ্ণযজুর্বেদ’।
‘যজুর্বেদ’ শব্দটি সংস্কৃত ‘যজুস্‌’ ও ‘বেদ’ শব্দদুটি থেকে এসেছে। মনিয়ার-উইলিয়ামসের মতে, ‘যজুস্‌’ শব্দের অর্থ “ধর্মানুশীলন, শ্রদ্ধানিবেদন, পূজা, যজ্ঞ, যজ্ঞে উচ্চারিত প্রার্থনা, পদ্ধতি, যজ্ঞের সময় অদ্ভুতভাবে উচ্চারিত নির্দিষ্ট মন্ত্র।” ‘বেদ’ শব্দের অর্থ “জ্ঞান”। জনসনের মতে, ‘যজুস্‌’ শব্দের অর্থ “যজুর্বেদে সংকলিত (প্রধানত) গদ্যে রচিত পদ্ধতি বা মন্ত্র, যেগুলি গোপনে উক্ত হয়।”
এখানে ‘কৃষ্ণ’ শব্দের অর্থ ‘অবিন্যস্ত, অস্পষ্ট ও বিক্ষিপ্তরূপে সংকলিত’। অন্যদিকে ‘শুক্ল’ শব্দের অর্থ ‘সুবিন্যস্ত ও স্পষ্ট।কৃষ্ণ যজুর্বেদের চারটি ও শুক্ল যজুর্বেদের দুটি শাখা আধুনিক যুগে বর্তমান রয়েছে।যজুর্বেদের অন্তর্গত শুক্ল যজুর্বেদের ১৬টি শাখার কথা জানা যায়। অন্যদিকে কৃষ্ণ যজুর্বেদের সম্ভবত আনুমানিক প্রায় ৮৬টি শাখা ছিল। শুক্ল যজুর্বেদের মাত্র দুটি শাখাই এখন বর্তমান। এদুটি হল: মধ্যণ্ডিন ও কান্ব। অন্যান্য শাখাগুলির নাম অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে মাত্র। উক্ত শাখাদুটি প্রায় একই রকম। শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে এগুলির মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।কৃষ্ণ যজুর্বেদের চারটি শাখা অধুনা বর্তমান। এগুলির বিভিন্ন সংস্করণ পাওয়া যায়।
শুক্ল যজুর্বেদের সংহিতাটিকে বলা হয় বাজসনেয়ী সংহিতা। ‘বাজসনেয়ী’ শব্দটি এসেছে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের পৈত্রিক নাম ‘বাজসনেয়’ থেকে। যাজ্ঞবক্ল্য ছিলেন বাজসনেয়ী শাখার প্রতিষ্ঠাতা। বাজসনেয়ী সংহিতার দুটি বর্তমান শাখাদুটি (যেগুলি প্রায় একরূপ) হল: বাজসনেয়ী মধ্যণ্ডিন ও বাজসনেয়ী কান্ব। প্রাচীন ভারতের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত শুক্ল যজুর্বেদের লুপ্ত শাখাগুলি হল: জাবালাবৌধ্যসপেয়ীতাপনীয়কাপোলপৌণ্ড্রবৎসঅবতীপরমাবটিকাপরাশরবৈনেয়বৈধেয়কাত্যায়ন ও বৈজয়বপ
#যজুর্বেদ - ২টি শাখা
① কৃষ্ণ যজুর্বেদ-৭টি কাণ্ড, ২১৮৪ টি মন্ত্র
শুক্ল যজুর্বেদ - ৪০টি অধ্যায়, ১৯৭৫ টি মন্ত্র ৷
শুক্ল যজুর্বেদের শাখাসমূহ
শাখার নামঅধ্যায়অনুবাকশ্লোকসংখ্যাসংশ্লিষ্ট অঞ্চলতথ্যসূত্র
মধ্যণ্ডিন৪০৩০৩১৯৭৫বিহারমধ্যপ্রদেশগুজরাতউত্তর ভারত
কান্ব৪০৩২৮২০৮৬মহারাষ্ট্রওড়িশাতেলঙ্গানাঅন্ধ্রপ্রদেশকর্ণাটকতামিলনাড়ু
কৃষ্ণ যজুর্বেদের অধুনা বর্তমান চারটি শাখা হল তৈত্তিরীয় সংহিতা, মৈত্রয়ানী সংহিতা, কঠ সংহিতা ও কপিস্থল সংহিতা। বায়ুপুরাণে কৃষ্ণ যজুর্বেদের ৮৬টি শাখার উল্লেখ করেছে। যদিও এর অধিকাংশই অধুনা অবলুপ্ত বলে মনে করা হয়। কঠ শাখাটিকে ভারতের কোনো কোনো প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে ‘চরক’ (পর্যটক) শাখার প্রশাখা বলে উল্লিখিত হয়েছে। কারণ, এই শাখার অনুগামীরা নানা স্থানে ঘুরে ঘুরে অধ্যয়ন করতেন।
কৃষ্ণ যজুর্বেদের শাখাসমূহ
শাখার নামউপশাখার সংখ্যা[২১]কাণ্ডপ্রপাঠকমন্ত্রসংখ্যাসংশ্লিষ্ট অঞ্চলতথ্যসূত্র
তৈত্তিরীয়৪২দক্ষিণ ভারত
মৈত্রয়ানী৫৪পশ্চিম ভারত
কঠক (চরক)১২৪০৩০৯৩কাশ্মীমউত্তর ভারতপূর্ব ভারত
কপিস্থল৪৮হরিয়ানারাজস্থান
এই শাখাগুলির মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাধিক সুসংরক্ষিত শাখাটি হল তৈত্তিরীয় সংহিতা। কোনো কোনো মতে, এই শাখাটির প্রতিষ্ঠাতা যক্ষের শিষ্য তিত্তিরি। পাণিনি এই শাখাটির উল্লেখ করেছেন।এই গ্রন্থটি যজুর্বেদের তৈত্তিরীয় শাখার সঙ্গে যুক্ত। সাধারণত ঋষি তিত্তিরির শিষ্যদের দ্বারা অনুসৃত বলে মনে করা হয়।
মৈত্রয়ানী সংহিতা হল প্রাচীনতম যজুর্বেদ সংহিতা যেটি এখনও বর্তমান। এটির সঙ্গে তৈত্তিরীয় সংহিতার বিষয়বস্তুর বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া অধ্যায় বিন্যাসেও তৈত্তিরীয় সংহিতার সঙ্গে এর কিছু পার্থক্য দেখা যায়। তবে এই সংহিতায় অনেক বেশি বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
কিংবদন্তি অনুসারে, কঠক সংহিতা বা চরক-কঠক সংহিতার সংকলক হলেন বৈশম্পায়নের শিষ্য কঠ।মৈত্রয়ানী সংহিতার মতো এতেও অপেক্ষাকৃত নবীন তৈত্তিরীয় সংহিতা অপেক্ষা কিছু কিছু অনুষ্ঠানের বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। উল্লেখ্য, তৈত্তিরীয় সংহিতায় স্থানে স্থানে এই ধরনের বর্ণনা সংক্ষেপিত আকারে বর্ণিত হয়েছে। কপিস্থল সংহিতা বা কপিস্থল-কঠ সংহিতার নামকরণ করা হয়েছে ঋষি কপিস্থলের নামানুসারে। এটি কেবলমাত্র কয়েকটি বৃহৎ খণ্ডাংশ ও উচ্চারণ-চিহ্ন ছাড়া সংকলিত আকারে পাওয়া যায়। এই গ্রন্থটি প্রকৃতপক্ষে কঠক সংহিতার একটি পাঠান্তর মাত্র।
যজুর্বেদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত মন্ত্রগুলি একটি বিশেষ ধরনের ছন্দে নিবদ্ধ। এই মন্ত্রগুলি সবিতা (সূর্য), ইন্দ্রঅগ্নিপ্রজাপতিরুদ্র ও অন্যান্যদের আবাহন ও স্তুতি করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, চতুর্থ খণ্ডের তৈত্তিরীয় সংহিতায় অগ্নিচয়ন অনুষ্ঠানের জন্য নিম্নোক্ত শ্লোকগুলি (সংক্ষেপিত) রয়েছে,
সবিতা মনকে একাগ্র করেন। চিন্তন সৃষ্টি করেন, আলোক দৃশ্যমান করে পৃথিবী থেকে অগ্নি আনয়ন করেন।
সবিতা সকল দেবতাকে মনের সঙ্গে যুক্ত করেন। যাঁরা মন থেকে আকাশে ও স্বর্গে গমন করেন, সবিতা তাঁদের আনয়ন করেন। তাঁরা মহতী আলোক সৃষ্টি করেন।
সকল দেবতাকে মনের সঙ্গে যুক্ত করে, যাঁরা মন থেকে আকাশে, স্বর্গে গমন করেন, তাঁদের, সবিতা তাঁদের আনয়ন কর যাঁরা মহা আলোক সৃষ্টি করেন।
একাগ্র চিত্তে আমরা সবিতৃদেব কর্তৃক স্বর্গলাভের শক্তি অর্জন করি।

যাঁর যাত্রাপথ অন্য দেবতাগণ অনুসরণ করেন, ঈশ্বরের শক্তির স্তুতি করেন, যিনি মর্ত্যলোকের আনন্দময় স্থানগুলি রক্ষা করেন, তিনিই মহান দেবতা সবিতা।
সবিতৃদেব, অনুষ্ঠানসকল সফল করুন! অনুষ্ঠানের ধাতা, সৌভাগ্য আনয়ন করুন!
চিত্তশুদ্ধিকারী দিব্য গন্ধর্ব, আমাদের চিন্তনকে পরিশুদ্ধ করুন! বাগ্‌দেবতা আমাদের বাক্য মধুময় করুন!

সবিতৃদেব, এই যজ্ঞ সফল করুন!
আমরা যেন দেবগণকে সম্মান করি, বন্ধু অর্জন করি, সর্বদা বিজয়ী হই, সম্পদ অর্জন করি ও স্বর্গলাভের অধিকারী হই!
— তৈত্তিরীয় সংহিতা ৪। ১। ১,
যজুর্বেদ (শুক্ল ও কৃষ্ণ) pdf

—ভাগবত শাস্ত্রী শ্রীবিজনবিহারী গোস্বামী 

যজুর্বেদ-সংহিতা দুটি স্পষ্ট শাখায় বিভক্ত—শুক্ল ও কৃষ্ণ। অনুষ্ঠান পরিচালনার সময় যজুর্বেদের পুরোহিত যে সমস্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতেন, শুক্ল যজুর্বেদে শুধু সেইগুলিই পাওয়া যায়। তাই শুক্ল যজুর্বেদের ‘ব্রাহ্মণ’সমূহ স্বতন্ত্র রচনারূপে প্রতিষ্ঠিত হলেও কৃষ্ণ যজুর্বেদের ‘ব্রাহ্মণগুলি প্রকৃতপক্ষে পরবর্তীকালে প্রথিত, গদ্যে রচিত নির্দেশমালা ও ব্যাখ্যাসমূহের ধারাবাহিক সংযোজন। কৃষ্ণ-যজুর্বেদে অনুষ্ঠানের বর্ণনা ও তার বিধিবদ্ধ ব্যাখ্যার সঙ্গে যজ্ঞানুষ্ঠানের সূত্রগুলিও রয়েছে। মন্ত্র-বহির্ভূত অন্যান্য অংশে গদ্যে রচিত এবং ব্রাহ্মণ-গ্ৰন্থসমূহের পূর্বগামী।


শুক্ল যজুর্বেদের একমাত্ৰ সাহিত্যকর্ম বাজসনেয়ী-সংহিতাটি দুটি শাখায় ঈষৎ ভিন্ন পাঠে পাওয়া যায়–কাণ্ব ও মাধ্যন্দিন ; এই বিভাজন ‘ব্রাহ্মণ’-গ্ৰন্থগুলির মধ্যেও রয়েছে। অবশ্য শুক্ল যজুর্বেদ প্রতিশাখ্য এই দুটি ভাগকেই একসঙ্গে উল্লেখ করেছে। আলোচ্য শাখা দুটির মধ্যে কাণ্বই প্রাচীনতর। দুটি শাখার মধ্যে পাঠগত ভিন্নতার মূল কারণ ভৌগোলিক ; যখন এক প্ৰজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম এই শ্রুতি-সাহিত্য মৌখিকভাবে সঞ্চারিত হত, স্থানগত ভিন্নতায় স্বাভাবিকভাবেই পাঠও ভিন্ন হয়ে পড়ছিল। মাধ্যন্দিন শাখায় বাজসনেয়ী সংহিতা মোট ৪০টি অধ্যায়, ৩০৮ অনুবাক্‌ ও ১৯৭৫ কণ্ডিকায় বিভক্ত। প্ৰথম ২৫টি অধ্যায়ে সাধারণভাবে প্ৰচলিত যে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠানবিধি সূত্রবদ্ধ হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে—দর্শপুর্ণমাস (১-২), অগ্নিহােত্র অর্থাৎ প্ৰাতঃকালীন ও সায়ংকালীন সংক্ষিপ্ত যজ্ঞানুষ্ঠান (৩), সাধারণ সোমযাগ (৪-৭), সোমযাগের দুটি বিশেষ ধনন (৯-১০), যজ্ঞবেদী নির্মাণ ও যজ্ঞাগ্নিসমূহের আধান (১১-১৮), সৌত্ৰিমণী যাগ, ইন্দ্রের প্রতি নিবেদিত বিশেষ কিছু কিছু অনুষ্ঠান ও প্ৰায়শ্চিত্তের নানা যাজ্ঞিক অনুষ্ঠানবিধির বিবরণ (১৯-২১) এবং অশ্বমেধ যজ্ঞের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি (২২-২৫)। এদের মধ্যে প্রথম আঠাশটি অধ্যায় পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ের তুলনায় প্রাচীনতর। সংহিতার দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ ২৬–৩৫তম অধ্যায়। পরবর্তীকালে সংযোজিত ; তাই ভাষ্যকার মহীধর এই অংশকে ‘খিল’ বলে অভিহিত করেছেন। শেষ পাঁচটি অধ্যায় অর্থাৎ ৩৬-৪০ অধ্যায়সমূহে পুরুষমেধ, সর্বমেধ, পিতৃমেধ ও পরবর্তীকালে আবিষ্কৃত প্ৰবর্গ্য যজ্ঞের বিধি সূত্রবদ্ধ হয়েছে। এই সমস্ত অধ্যায়ের কোনো কোনো অংশ স্পষ্টতই দার্শনিক ব্যঞ্জনাগর্ভ ; যেমন শতরুদ্রীয় নামক রুদ্রদেবের প্রতি নিবেদিত বিখ্যাত সূক্তটি (১৬শ অধ্যায়) ঋগ্বেদীয় পুরুষসূক্ত (৩১তম অধ্যায়) এবং ‘তদেব’ সূক্ত (৩২তম অধ্যায়)। এছাড়া ৩৪তম অধ্যায়ে ‘শিবসংকল্প’ নামক সুপরিচিত সূক্তটিতে নতুন এক ধরনের দেববাদী ভাবনার উন্মেষ ঘটেছে। সংহিতার শেষ অধ্যায়টিই (৪০) ঈশোপনিষদ।



শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রয়োজনে যজ্ঞবিধি সম্পর্কিত রচনারূপে কৃষ্ণ-যজুৰ্বেদ সংকলিত হওয়ার ফলে তাতে বহু শাখার বিকাশ ঘটেছে ; কখনও অঞ্চল এবং কখনও পরিবারভেদে এই সংহিতায় পাঠগত ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত পাঁচটি বা ছয়টি শাখার স্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে– তৈত্তিরীয়, কাঠক, আত্ৰেয়, হরিদ্রাবিক, মানব এবং মৈত্রায়ণীয়। এদের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূৰ্ণ তৈত্তিরীয় শাখা আপস্তম্ব ও বৌধায়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত ; মধ্যদেশে তার উৎপত্তি হয়েছিল।


এখানে উল্লেখ্য যে, বাজসনেয়ী শাখা উত্তর পূর্বকাশ্মীরে এবং কাঠক ও কপিষ্ঠল পাঞ্জাবে, মৈত্রায়ণীয় গুজরাট, বিন্ধ্য পর্বত ও নর্মদা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে এবং মানবশাখা ভারতের পশ্চিম অঞ্চলে উদ্ভূত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।


কাঠক ও কপিষ্ঠল সংহিতা চারায়ণীয় (সাধারণভাবে চরকের সঙ্গে সম্পর্কিত) শাখার অন্তর্ভুক্ত। এই পাঠ বিশ্লেষণ করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, এটি কৃষ্ণ ও শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করতে চেয়েছে। স্বভাবত স্বতন্ত্র এই পাঠ মোট পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত ; প্রথম তিনটি অধ্যায় আবার চল্লিশটি স্থানক বা উপবিভাগে বিভক্ত। চতুর্থ অধ্যায়টি বিভিন্ন ধরনের যে সমস্ত সম্পদের বিবরণ দিয়েছে, সে সব মূলত তাৎপৰ্যহীন। পঞ্চম বা শেষ অধ্যায়টি অশ্বমেধ যজ্ঞের বিবরণ দিয়েছে।



আত্ৰেয়-সংহিতা মোটামুটিভাবে তৈত্তিরীয় শাখারই ভিন্ন পাঠ ; এতে কয়েকটি কাণ্ড রয়েছে–প্ৰত্যেকটি কাণ্ড কয়েকটি ‘প্রশ্নে’ এবং প্রত্যেকটি ‘প্রশ্ন’ কয়েকটি অনুবাকে বিন্যস্ত। মৈত্রায়ণীয় বা কলাপ শাখার পাঠ হরিদ্রাবিক বলে অভিহিত। যাঙ্কাচাৰ্য যজুর্বেদের ব্রাহ্মণরূপে একমাত্র মৈত্ৰায়ণীয় শাখারই উল্লেখ করেছিলেন, এতে মনে হয় তিনিই যজুর্বেদের সংহিতা ও ব্রাহ্মাণগুলিকে সুবিন্যস্ত করে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলেন।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ঋগ্বেদ ৭/৪/৭

  পরিষদ্যম্ হ্যরণস্য রেক্ণো নিত্যস্য রায়ঃ পতয়ঃ স্যাম। ন শেষো অগ্নে অন‍্যজাতম্ অস্ত্যচেতনস্য মা পথম্ বিদুক্ষঃ॥ ঋগ্বেদ ভাষ্য (স্বামী দयानন্দ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ