শিয়া ও সুন্নী - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

28 June, 2021

শিয়া ও সুন্নী

ইসলামের প্রধান দুইটি ধারা হচ্ছে সুন্নী ইসলাম এবং শিয়া ইসলাম। আরো বেশ কয়েকটি ধারা যদিও রয়েছে, তবে এই দুইটিই প্রধান। গত কয়েক শতাব্দী ধরে সুন্নীরা শিয়াদের কাফের বলে আসছেন, আবার শিয়ারাও সুন্নীদের কাফের বলে আসছেন। এই দুই অংশের মধ্যে অসংখ্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই শত্রুতা এবং যুদ্ধ থামার কোন রকম লক্ষণ বা সম্ভাবনাও নেই। একদিকে শিয়া মুসলমান অধ্যুষিত ইরান যেমন শক্তিশালী হচ্ছে, অন্যদিকে শক্তিশালী হচ্ছে সুন্নী মুসলমান অধ্যুষিত মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ। 

নবী মুহাম্মদ প্রাথমিকভাবে তার প্রথম স্ত্রী খাদিজার উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণায় এই ধর্মটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মূলত, সহায় সম্বলহীন এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, কৈশোরের প্রেমে ব্যর্থ হওয়া  অসহায় মুহাম্মদকে খাদিজা বিয়ে করে একটি নতুন জীবন দিয়েছিলেন। নবী মুহাম্মদের যখন অসহায়, তখন তাকে ভালবাসা আর অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহসী করে তুলেছিলেন খাজিদা। সত্যিকার অর্থে, খাদিজা না থাকলে আজকের এই ইসলাম যে থাকতো না, তা বলাই বাহুল্য।

এমনকি, তিনি যে আল্লাহর নবী, এই বিষয়টিও খাদিজাই তাকে বলেন। নবী মুহাম্মদ হেরা গুহায় একবার ভয় পেয়ে ঘরে ফিরেছিলেন, সেই রাতে খাজিদাই তাকে এই বলে স্বান্তনা দিয়েছিলেন যে, তিনি আল্লাহর মনোনীত নবী। এর মানে হচ্ছে, ইসলামের সৃষ্টি এবং বিকাশে খাদিজার ভূমিকা অপরিসীম।
সেই খাদিজার গর্ভে মুহাম্মদের সন্তান ফাতিমাই ছিল নবী মুহাম্মদের সর্বাধিক প্রিয় সন্তান। ফাতিমা এবং ফাতিমার দুই পুত্র হাসান ও হোসেইন নবীর এতটাই প্রিয় ছিল, যাদের নবী জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন এবং ফাতিমাকে জান্নাতের নারীদের সর্দারনী এবং হাসান হোসেইনকে জান্নাতের যুবকদের সর্দার বলেও ঘোষণা দিয়ে যান তিনি। নবী মুহাম্মদ সেই সাথে এটিও অনেকবারই বলেছেন যে, ফাতিমাকে যে কষ্ট দেয় সে যেন আমাকেই কষ্ট দেয়। কারণ ফাতিমা আমারই অঙ্গ [সহিহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০৯]।
নবী নিজে অসংখ্য বিয়ে করলেও তিনি আলীকে আরেকটি বিবাহ করতে অনুমতি দেন নি। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, ফাতিমার সতীন আসলে তার কষ্ট হবে। এই হাদিসগুলো থেকে বেশ পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায়, নবী মুহাম্মদ গাদিরে খুমের বক্তৃতায় অবশ্যই হযরত আলীর প্রশংসা করে এবং তার গুরুত্ব জানাতে অনেক কিছুই বলেছিলেন। শিয়াদের মতে, মুহাম্মদ ঐ বক্তৃতাতেই প্রায় সোয়া লাখ সাহাবির উপস্থিতে অনাড়ম্বর পরিবেশে মোমিনে বা বিশ্বাসীদের প্রতিনিধি বা ‘মাওলা’ হিসেবে হজরত আলীকে তার স্থলাভিষিক্ত করে নেন। শিয়া মুসলমানগণ একেই নবী মুহাম্মদের সত্যিকারের খলিফা নির্বাচন এবং আলীকেই নবীর উত্তরসূরি বানানো বলে মনে করেন।

আবু বকর ছিলেন মুহাম্মাদের অন্যতম পুরানাে সমর্থক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মুহাম্মাদের অন্তিম অসুস্থ জীবনের সময় ইনিই নামাজের ইমামতি করতেন। আল-মদীনায় বহু মুসলিম নেতার উপস্থিতিতে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুন মুহাম্মাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবুবকরের নাম স্থির হয়। এরপর থেকে তিনিই মুহাম্মাদের সমস্ত দায়িত্ব পালন করতেন, আর বিনিময়ে পয়গাম্বরি-বিষয়ক ব্যাপারগুলি বাদে মুহাম্মাদ যেসব (ক্ষমতাসম্পর্কিত) সুবিধাদি ভােগ করতেন, তিনিও তা পাওয়ার অধিকারী ছিলেন।

আবু বকরের পর নিয়মমাফিকই মুহাম্মাদের উত্তরাধিকারী হবার কথা ছিল উমারের। আবু-বকরই তাকে উত্তরাধিকারী ঘােষণা করে দেন। দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে (৬৩৪-৪৪) তিনিই প্রথম মুসলিম সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ বা সেনাপ্রধান হিসেবে ‘আমির-আল মু’মিনিন’ (অর্থাৎ মুসলিম ধর্মবিশ্বাসীদের নায়ক) উপাধিতে ভূষিত হন। মৃত্যুর আগে উমার ‘আল-শূরা’ নামে ৬ সদস্যের এক পর্ষদ মনােনীত করে যান যাদের দায়িত্ব ছিল পরবর্তী খলিফা বাছাই করার (১)। উমারের এই পর্ষদ গঠনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল যাতে তার মৃত্যুর পর তার পুত্র জোর করে খলিফা হয়ে যেতে না পারেন, উমার এর বিরোধী ছিলেন। এমনভাবে পর্ষদ মনোনীত করেছিলেন যাতে তার পুত্র জোর করে খলিফা হয়ে যেতে না পারেন, তিনি তার বিরােধী ছিলেন। সাবেক আরবে এইভাবেই উপজাতি প্রধান বাছাই করা হত। উমারের পর্ষদ এরই অনুকরণে ছিল। উমার এক বিশাল মুসলিম সাম্রাজ্যের অধিপতি হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন, যার আমলে রাষ্ট্রীয় নথিভুক্তিকরণ চালু হয়, যিনি প্রথম সুসংগঠিত মুসলিম প্রশাসন উপহার দেন, কিন্তু উমারের মৃত্যু হয় আচমকাই। ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর এক খ্রিস্টান পারসি ক্রীতদাস বিষমাখানাে ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করে। (২) হত্যার সময় তিনি নামাযের জামাআতে উপস্থিত ছিলেন। সাম্রাজ্য-আধপতি হিসেবে উমার যখন সবে বিখ্যাত হয়ে উঠছিলেন তখনই তিনি খুন হন।

তৃতীয় খলিফা নির্বাচন হয় প্রাচীনত্বের ভিত্তিতে, তাই আলীর দাবিকে ছাপিয়ে উসমানই হয়ে যান খলিফা। উসমানের আমলেই ইরান, আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার কিছু অংশ মুসলিম সাম্রাজ্যের দখলে আসে। উসমান ভাল মানুষ ছিলেন, তবে তার লােভী আত্মীয়পরিজনকে বাধা দেওয়ার মতাে দৃঢ়তা তার ছিল না। এর কিছু উদাহরণ দেয়া যাক। তার বৈমাত্রেয় ভাই আবদুল্লাহ মুহাম্মাদের শ্রুতিলেখক ছিলেন, তিনি কুরআনের ‘রহস্য উদঘাটন’ পর্বের পাণ্ডুলিপি বিকৃত করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। (৩) আবার উসমানের সৎভাই আল-ওয়ালীদ ইবন-উকবাহ্ এর সাথে মুহাম্মদের সম্পর্ক ভাল ছিল না, তাকে বেশিরভাগই পছন্দও করত না, কিন্তু উসমান তাকেই আল-কূফার (বর্তমান ইরাকে অবস্থিত) রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন। উসমানের খুরতুতো বা চাচাতো ভাই মারওয়ান ইব্ন‌-আল-হাকামের নামেও দোষ ছিল, তাকেও উসমান ‘দিওয়ান’ বিভাগের দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। এছাড়া মাত্রাহীন স্বজনপােষণ করে উমাইয়া বংশের অনেককে তিনি গুরুত্বপূর্ণ রাজপদে নিযুক্ত করেন। (৪) এছাড়া খলিফা নিজেও রাজ্যপালদের অথবা তাদের কর্মচারীদের উপহার গ্রহণ করতেন। স্বজনপােষণের অভিযোগ ক্রমেই বাড়তে থাকে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে জনরােষ বাড়ছিল দিন দিন।

কুরাইশপন্থি তিনজন – আলী, তালহা এবং আল-যুবাইর উসমানের উত্তরাধিকারের দাবিদার হয়ে ওঠেন। আলীর অনুগামীরা আল-কূফায় বিদ্রোহ করেন। এই বিদ্রোহের বহর দেখে ভালই বোঝা যাচ্ছিল যে, মিশরে যে তার অনুগামীর সংখ্যা বেশ ভালই ছিল। মিশর থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে ৫০০ বিদ্রোহীকে আল-মদীনায় পাঠানো হয়। বিদ্রোহীরা শহরের বিশিষ্ট অশীতিপর বৃদ্ধ খলিফাকে একটি বাড়িতে আটক করে রাখে। এরপর যখন উসমান ওই বাড়িতে কুরআন পাঠে রত ছিলেন, তখনই বাড়িটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তিনি তখন কুরআন পড়ছিলেন, ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় তার রক্তের দাগযুক্ত আল-বাসরার মসজিদে সুরক্ষিত ছিল। (৫) বিদ্রোহীরা যখন তার গৃহে প্রবেশ করছিল তখন উসমানের স্ত্রী নাইলা তাদেরকে বাধা দেয়, এতে নাইলার আঙ্গুল কাটা যায়। আবুবকরের পুত্র মুহাম্মাদ বলপূর্বক তার ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেন, ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুন তিনি মারা যান। 

কোরআনের মধ্যেকার বিরাট সীমাবদ্ধতা ও অসম্পূণর্তা সম্পরেকে পঁচানব্বই শতাংশ মুসলমাই সম্পূর্ণ অজ্ঞ, হাদিস সম্পর্কেও এই কথা প্রযোজ্য। কোরআন ও হাদিসের মধ্যে যে সীমাবন্ধতা ও অসম্পূর্ণতাগুলি বিদ্যমান সে বিষয়ে মুসলমিম সমাজ অজ্ঞ ও অনবহিত কারণ এগুলি তাদের নিকট সচেতনভাবে আড়াল করা হয়। শুধু কী সীমাবদ্ধতা আর অসম্পূর্ণতা ? কোরআনের পরিপূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল মুহাম্মদের মৃত্যুর অল্পকাল পরেই। প্রশ্ন ও সংশয় তৈরী হয়েছিল মুহাম্মদের সাক্ষাৎ শিষ্য তথা সাহাবীদের খেলাফতের যুগেই অর্থাৎ হাদিস সংঙ্কলনের বহুপূর্বে। তৃতীয় খালিফা ওসমান গণির খেলাফত কালেই (৬৪৪-৬৫৬ খ্রীঃ) তাঁর বিরূদ্ধে কোরআন অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি সে সময়ের উদ্বুত সমস্যার সমাধানের জন্যে জায়গীরদারি ও জমিদারী প্রথার প্রবর্তন করেছিলেন। এটা স্পষ্টতঃই কোরআনের নীতির পরিপন্থী এবং স্বভাবতঃই এরজন্যে খালিফার বিরূদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরী হয়েছিলো। খালিফার এই পদক্ষেপের ফলে নেতারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন এবং "কোরআন" নিয়ে মুসলিম সমাজে শুরু হয় তীব্র মতপার্থক্য ও মতবিরোধ। যতদিন গেছে এই মতপার্থক্য ও মতবিরোধ তত বৃদ্ধি লাভ করেছে। হাদিস নিয়ে এই দ্বন্ধ তো আরও তীব্র। কোরআন ও হাদিস নিয়ে মতপার্থক্য ও মতবিরোধের জন্যই মুসলিম সমাজ বহুধা-বিভক্ত। মুসলিম সমাজে অনেক দল-উপদল থাকলেও তারা মূলতঃ দুটি প্রধান দলে বিভাজিত। তা হলো-১) #সুন্নী সম্প্রদায় ২) #শিয়া সম্প্রদায়। সুন্নী ও শিয়া আবার বহু গোষ্ঠিতে বিভাজিত। সুন্নী ও শিয়ার মধ্যে প্রধান মতবিরোধ দুটি।একটি হলো মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তাঁর ইত্তরাধিকার সংক্রান্ত। এবং দ্বিতীয়টি হলো কোরআনের সংকলন সংক্রান্ত।
মহাউন্মাদের মৃত্যুর পর খালিফা পদ নিয়ে তুমুল দ্বন্ধ হয়, সেই দ্বন্ধের মধ্যেই প্রথম খলিফা হন আবু বকর। তারপর ২য়, ৩য় ও ৪র্থ খলিফা মনোনীত হন যথাক্রমে ওমর ফারুক, ওসমান গণি এবং আলী। কিন্তু শিয়া সম্প্রদায় মনোনয়নের এই ধারাকে সম্পূর্ণ ইছলাম ও কোরাণের পরিপন্থী মনে করে। তাঁরা মনে করে মুহাম্মদ একমাত্র যোগ্য ও ইসলাম সন্মত উত্তরাধিকারী ছিলেন তাঁরই বংশধর ও জামাতা "আলী"। উত্তরাধিকারী জামাতা কি ভাবে হওয়া সম্ভব তা হয়তো আল্লাহ জানেন। তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এবং সেজন্যেই প্রথম তিনজনের খেলাফতে মনোনয়ন সম্পূর্ণরূপে ইসলাম বিরোধী। "কোরআন" সংকলন করেন খলিফা ওসমান গণি। তাই মুছলমানরা কোরআন কে আসমানী বলে যা প্রকৃতপক্ষে ওসমানী কিতাব। সুন্নিঃ চার খলিফাতে বিশ্বাসী। আবু বকর (রা), উমার (রা), উসমান (রা), আলি(রা)
শিয়াঃ আবু বকর, উমার, উসমান খলিফা হয়েছিলেন অবৈধভাবে (নাউযুবিল্লাহ); কেউ কেউ তাঁদের কাফির বলে। উমার (রা) এর হত্যাকারী ফিরোজ এর কবর সযত্নে সংরক্ষণ করেছে তারা।

সুন্নী সম্প্রদায় "কোরআন" গ্রন্থটি অবিকল সংকলিত হয়েছে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং তাদের বিশ্বাস আল্লার নিকট যে মূল কোরআন টি রক্ষিত আছে, ওসমান কর্ত্তৃক সংকলিত কোরানটি তারই অবিকল কপি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসম্ভব। ওসমান কি ভাবে আল্লার কাছ থেকে কপি করলেন তা ইসলামে কোথাও বর্ননা করা নেই। শিয়া সম্প্রদায়ের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁরা এই কোরান'কে খেলাফতি কোরান বলে মনে করে। তাঁদের মতে এই কোরআন আল্লার প্রেরিত সেই কোরআন নয় যেটা আল্লার হেফাজতে বেহেস্তে রক্ষিত রয়েছে। কোরআনের মধ্যে এরূপ আয়াত (ওহি) রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, আল্লা স্বয়ং কিছু আয়াত বাতিল করে সেস্থানে তার থেকেও উত্তম কিছু আয়াত প্রেরণ করেছে। এ প্রসঙ্গে একজন শিয়া নেতা বলেছেন, "খেলাফত কর্ত্তৃক কোরআনের কথাবিশেষকে বাতিল করিয়া দিবার সকল অপরাধ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের ওপর আরোপ করা হইয়াছে। আল্লাহর অবতীর্ণ বাণী আল্লাহ্ বাতিল করিলে আমাদের বলিবার আর কিছুই থাকিবে না, কিন্তু ইহাতে আল্লার চরিত্র এবং রাসুলের চরিত্র কোথায় যাইয়া যে দাঁড়াইতেছে সেই দিকে আমাদের লক্ষ আছে কি ?"
শিয়া ও সুন্নী
#কোরআন (আরবি: القرآن‎‎ বা
আল্-কুর্’আন) শব্দের অর্থ হচ্ছে পঠিত বা পাঠ করা বা আবৃত্তি করা। কোরআন শব্দের উৎপত্তি ক্বারউন নামক শব্দ থেকে যার অর্থ পঠিত, যা অধিক পাঠ করা হয়, মিলিত। এই বিষয়ে খানিকটা মতবিরোধ রয়েছে।
দু’টি প্রধান মতামত হচ্ছে, ১) এই শব্দটি এসেছে al-Qar` মানে হচ্ছে `সংকলন করা` বা ‘সংগ্রহ করা’ ২) এই শব্দটি এসেছে `Qara` থেকে যার মানে হচ্ছে ‘পাঠ করা’। এই মতামতটিই বেশিরভাগ ইসলামি স্কলার মেনে নেন। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমরা যেই কোরআন দেখি, বা পড়ি, সেটি সংকলিত হয়েছিল খলিফা উসমানের আমলে। এই বিষয়টি স্মরণ রেখেই লেখাটি পড়তে হবে। ‘কোরআন আল্লাহর সৃষ্টি নয়’- এই বিষয়ে বেশ কিছু বিখ্যাত ইসলামিক আলেমের মতামত পাওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. বলেন, “কোরআন আল্লাহ কালাম (বাণী); মাখলুক বা সৃষ্ট নয়। যে ব্যক্তি মনে করে যে, কোরআন আল্লাহর মাখলুক (সৃষ্ট) সে জাহমী-কাফির। আর যে ব্যক্তি কোরআন আল্লাহর কালাম বলে চুপ থাকে- মাখলুক না কি মাখলুক নয় সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করে না-সে ১ম ব্যক্তির থেকেও নিকৃষ্ট। ইমাম ইবনে আব্দুল ইয আল হানাফি (তাহাবীয়া গ্রন্থের ভাষ্যকার), বলেন: “চার মাযহাব সহ পূর্বসূরি ও পরবর্তী মনিষীদের সকলেই একমত যে, আল্লাহর কালাম মাখলুক নয়। ইমাম ইবনে তাইয়িমা রাহ .এর ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ়তা সূলভ বক্তব্য আছে। তিনি ‘কোরআন আল্লাহর সৃষ্টি’ মতবাদে বিশ্বাসীদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে জবাব দিয়েছেন। শায়খ হাফেয আল হাকামী রহ. বলেন: “কোরআন প্রকৃত অর্থেই আল্লাহর কালাম বা বাণী। অক্ষর-সমূহ এবং তার অর্থ উভয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। এ নয় যে, আল্লাহর কালাম বলতে শুধু কুরআনের শব্দগুলোকে বুযায়। এমনিভাবে শব্দ ছাড়া শুধু অর্থগুলোর নাম আল্লাহর কালাম নয়। আল্লাহ তা’আলা কুরআনের মাধ্যমে কথা বলেছেন এবং তাঁর নবির উপর অহি আকারে তা নাযিল করেছেন। মুমিনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সুতরাং আঙ্গুলের মাধ্যমে কোরআন লিখা, জবানের মাধ্যমে তা তেলাওয়াত করা, অন্তরের মাধ্যমে তা মুখস্থ করা, কান দিয়ে শুনা এবং চোখ দিয়ে দেখলেই তা আল্লাহর কালাম থেকে বের হয়ে যায় না। আঙ্গুল, কালি, কলম এবং কাগজ এগুলোর সবই আল্লাহর সৃষ্টি । কিন্তু এ সব দিয়ে যা লেখা হয়েছে তা সৃষ্টি নয়। ঠিক তেমনি জবান এবং আওয়াজ আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু জবান দিয়ে তা তেলাওয়াত করা হচ্ছে তা মাখলুক তথা সৃষ্টি নয়। বক্ষসুমহ আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তাতে যে কোরআন সংরক্ষিত আছে, তা মাখলুক নয়। কান-সমূহ আল্লাহর সৃষ্টি কিন্তু কান দিয়ে কোরআন আমরা শুনছি, তা মাখলুক নয়।

তাহলে, এই সূরাগুলোর এইসব বক্তব্য কী আল্লাহ নিজ মুখে বলেছেন? নাকি আল্লাহ বলেছেন একভাবে, জিব্রাইল বলেছে আরেকভাবে, আর মুহাম্মদ লিখেছে আরেকভাবে? মানে, ব্যক্তি ভেদে বক্তব্যের কী পরিবর্তিত হয়েছে? সরাসরি আল্লাহর বানী হলে তো অন্যরকম হওয়া উচিত ছিল।

অনেক মুসলিমই বলবেন, এগুলো আল্লাহ পাক বলে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, কীভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করতে হয়। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এই সূরাটিও কী আল্লাহর মুখের বাণী?(কোরআন ৫৮ঃ২২)

তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।-কোরআন ৫৮ঃ২২

এরকম অসংখ্য সূরা আছে, যেখানে মূল বক্তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বলেই বোঝা যায়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, আল্লাহ মুহাম্মদের কাছে সূরাটি একভাবে পাঠিয়েছিলেন, আর মুহাম্মদ সূরাটি নিজের মত করে বলেছেন। আল্লাহ আসলে বলেছিলেন,

আমি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবো, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আমি(আল্লাহ) তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আমার (আল্লাহর) প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আমার (আল্লাহর) দল। জেনে রাখ, আমার (আল্লাহর) দলই সফলকাম হবে।

এই বক্তব্যটি জিব্রাইলকে বলা হয়েছিল, যেখানে জিব্রাইল কথাটি শুনে মুহাম্মদকে বলেছেন, মুহাম্মদ মুসলিমদের বলেছেন। যার কারণে বাচ্য পরিবর্তিত হয়ে গেছে।

যেমন ধরুন, আল্লাহ বলছেঃ “আমি সর্বশক্তিমান। আমি সব করতে সক্ষম।” এই কথাটি জিব্রাইল শুনলো। এবং তিনি মুহাম্মদকে বললেন, “আল্লাহ বলেছেন যে, তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি সব করতে সক্ষম।” মুহাম্মদ কথাটি শুনলো। এবং তিনি মুসলিমদের বললেন যে, আল্লাহর কাছ থেকে ওহী আসলো যে, আল্লাহ জানিয়েছেন, “আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি সব করতে সক্ষম। ”

লক্ষ্য করে দেখুন, একই বক্তব্য, তিনজনার কাছে এসে বক্তব্যগুলোর কিছু পরিবর্তন ঘটে গেল। তাহলে, কোরআনে মুহাম্মদ বা জিব্রাইল বা বান্দাদের যেসকল বক্তব্য পাওয়া যায়, সেগুলো তো আল্লাহর সরাসরি বক্তব্য হতে পারে না। আল্লাহ তো কথাগুলো সেভাবে বলবেন না।

আবার ধরুন, নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করুনঃ [কোরআন ৬ঃ৯৯]

তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে।-কোরআন ৬ঃ৯৯

এবারে ভেবে বলুন তো, উপরের আয়াতে তিনিই কে এবং আমি কে? একই বাক্যের মধ্যে যদি তিনি এবং আমি ব্যবহৃত হয়, তা কী একই জনকে উদ্দেশ্য করে বলা হতে পারে?

আরো দেখুনঃ [কোরআন ৬ঃ৯৭ ] [কোরআন ৬ঃ৯৮]

তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্রপুঞ্জ সৃজন করেছেন যাতে তোমরা স্থল ও জলের অন্ধকারে পথ প্রাপ্ত হও। নিশ্চয় যারা জ্ঞানী তাদের জন্যে আমি নির্দেশনাবলী বিস্তারিত বর্ণনা করে দিয়েছি।-কোরআন ৬ঃ৯৭

তিনিই তোমাদের কে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর একটি হচ্ছে তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা ও একটি হচ্ছে গচ্ছিত স্থল। নিশ্চয় আমি প্রমাণাদি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করে দিয়েছি তাদের জন্যে, যারা চিন্তা করে।-কোরআন ৬ঃ৯৮

লক্ষ্য করুন, একই আয়াতে একবার বলা হচ্ছে তিনি, আবার বলা হচ্ছে আমি। এই আয়াতটির মূল বক্তা কে? আল্লাহ, নবী, জিব্রাইল না বান্দা?

আবার ধরুন, নিচের আয়াতটি যদি পর্যালোচনা করিঃ [কোরআন ২ঃ ২৮৬]

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।-কোরআন ২ঃ ২৮৬

উপরের সূরার আয়াতটি কার বক্তব্য? প্রথম লাইনটি আল্লাহ বা নবী বা জিব্রাইলের বক্তব্য হতে পারে। কিন্তু পরের লাইনগুলো তো পরিষ্কারভাবেই মানুষের বক্তব্য। কোন মানুষের প্রার্থণা, বা প্রত্যাশা। মানুষের কথাবার্তা কোরআনে আল্লাহর বানী হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে কীভাবে? তাছাড়া, আল্লাহ শুরুর লাইনে যেখানে বলেই দিচ্ছেন, আল্লাহ সাধ্যাতীত কাজের ভার কারো ওপর চাপান না, পরের লাইনে আবার বলা হচ্ছে, আমাদের ওপর এমন ভার চাপিও না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। পূর্ববর্তীদের ওপর যা চালিয়েছো! আয়াতটির মধ্যে প্রবল স্ববিরোধীতা লক্ষ্য করছেন?

#লাওহেমাহফুজ কাকে বলে, এই নিয়ে মুসলিমগণদের মধ্যেই নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। এই বিষয়ে জেনে নিই। 

[‘লাওহে মাহফুয’ বলতে কি বুঝায়? এর অর্থ কি? ]

  • ইবনে মানযুর বলেন:
    লাওহেঃ “কাঠের প্রশস্ত যে কোন পৃষ্ঠকে লাওহ বলে।”
  • আযহারি বলেনঃ কাঠের পৃষ্ঠকে লাওহ বলা হয়। কাঁধের হাড়ের ওপর যদি কিছু লেখা হয় সেটাকেও লাওহ বলা হয়। যেটার উপর কিছু লেখা হয় সেটাই লাওহ।
    মানে সুরক্ষিত ফলক। আল্লাহ্‌ তাআলার ইচ্ছাসমূহের সংরক্ষণাগার।
  • ইবনে কাছির বলেন:
    লাওহে মাহফুযে তথা সুরক্ষিত ফলকে রয়েছেঃ অর্থাৎ এটি উচ্চ পরিষদ কর্তৃক সংযোজন, বিয়োজন, বিকৃতি ও পরিবর্তন থেকে সংরক্ষিত।(তাফসিরে ইবনে কাছির (৪/৪৯৭, ৪৯৮)
  • ইবনুল কাইয়্যেম বলেনঃ
    এর মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, শয়তানদের পক্ষে কুরআন নিয়ে অবতীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। কারণ কুরআন যে স্থানে রয়েছে সে স্থানটি শয়তান সেখানে পৌঁছা থেকে সংরক্ষিত। এবং কুরআন নিজেও সংরক্ষিত; কোন শয়তান এতে সংযোজন-বিয়োজন করার ক্ষমতা রাখে না।
    আল্লাহ্‌ তাআলা কুরআন যে আধারে রয়েছে সে আধার সংরক্ষণ করেছেন এবং কুরআনকেও যাবতীয় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন থেকে হেফাযত করেছেন। কুরআনের শব্দাবলি যেভাবে হেফাযত করেছেন অনুরূপভাবে কুরআনের অর্থকেও বিকৃতি থেকে হেফাযত করেছেন। কুরআনের কল্যাণে এমন কিছু ব্যক্তিকে নিয়োজিত করেছেন যারা কোন প্রকার বাড়তি বা কমতি ছাড়া কুরআনের হরফগুলো মুখস্ত রাখে এবং এমন কিছু ব্যক্তি নিয়োজিত করেছেন যারা কুরআনের অর্থকে বিকৃতি ও পরিবর্তন থেকে হেফাযত করে।”(দেখুন: আত-তিবইয়ান ফি আকসামিল কুরআন, পৃষ্ঠা-৬২)
  • কিছু কিছু তাফসিরে এসেছে যে, ‘লাওহে মাহফুয’ হচ্ছে- ইস্রাফিলের কপালে; অথবা সবুজ রঙের মণি দিয়ে তৈরী এক প্রকার সৃষ্টি; কিংবা এ জাতীয় অন্যান্য ব্যাখ্যা।
শিয়া ও সুন্নী

কোরানের কিছু অংশ আসল, কিছু অংশ বিকৃত এবং কিছু অংশ প্রক্ষিপ্ত এবং বোখারী শরিফের হাদিসগুলি মিথ্যা ও মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বোখারীর (মৃত্যু ৮৭১ খ্রীঃ) মনগড়া রচনা, এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ সম্পর্কে সুন্নী মুসলিম সমাজের মধ্যে যারা অবহিত তাদের সংখ্যা অতি নগন্যই। সমগ্র বিশ্বে সুন্নী মুসলমানরাই ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। তাদের মধ্যে শিয়াদের এই ভয়ঙ্কর অভিযোগটি-বর্তমান প্রচলিত কোরআনটি আল্লার প্রেরিত আসল কোরান নয়- সম্পর্কে সুন্নী সমাজের মানুষের এত অজ্ঞতা অতিশয় বিস্ময়কর। এটা সম্ভব হয়েছে দুটি কারনে
শিয়া ও সুন্নী
এখানে "মোশরেক" কথার অর্থ অমুসলমান।
ইছলামে সাহিত্য ও কাব্য চর্চা নিন্দনীয় কাজ।গান বাজনা ও শিল্পকলা তো আরো নিন্দনীয়। যে কোনও প্রাণীর ছবি আঁকবে তার স্থান জাহান্নামে। মুয়াবিয়া ইসলামের এসব

সম্প্রদায়েই সুন্নিরা হল সংখ্যাগরিষ্ঠ: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ও আরব বিশ্বের অন্যান্য অংশে। শিয়ারা যেসব দেশের জনসংখ্যার বড় অংশ সেগুলো হল, ইরাক, বাহরাইন, লেবানন, ইরান ও আজারবাইজান, এছাড়াও তারা পাকিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও কুয়েত্ে রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু হিসেবপরিচিতিত।[৪] ইন্দোনেশিয়ায় বৃহত্তম সুন্নি মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস করে, যেখানে ইরানে বিশ্বের বৃহত্তম শিয়া (বারো ইমাম) জনগোষ্ঠী বাস করে। পাকিস্তানের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুন্নি জনগোষ্ঠী রয়েছে, যেখানে ভারত্ে রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিয়া মুসলিম (বারো ইমাম) জনগোষ্ঠী।
মুসলিম সম্প্রদায় কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) সুন্নী মুসলমান
২) শিয়া মুসলমান
৩) খাওয়ারিজ মুসলমান
আবার সুন্নীকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) হানাফী মুসলমান
২) Hanbali মুসলমান
3) Maliki মুসলমান
4) Shafii মুসলমান
শিয়া সম্প্রদায়ের কে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
১) Isma Ilism মুসলমান
2) Jafri মুসলমান
3) Zaidiyyah মুসলমান
শিয়া সম্প্রদায় থেকে বিভক্ত
Isma Ilism মুসলমান সম্প্রদায়কে
কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) Sevener মুসলমান
2) Nizari মুসলমান
3) Mustali মুসলমান
Isma Llism থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া
Sevener
Nizari
Mustali
এদের কেও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) Sevener মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Qaramita মুসলিম সম্প্রদায়।
২) Nizari মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Druze মুসলিম সম্প্রদায়।
৩) Mustali মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Tyyibi মুসলিম সম্প্রদায়।
শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের ২ নং বিভক্ত Jafri কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে
১) Twelver মুসলিম সম্প্রদায়
২) Alawi মুসলিম সম্প্রদায়
৩) Alevi মুসলিম সম্প্রদায়
শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া Jafri আবার Jafri থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া Twelver সম্প্রদায় কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) Akbari মুসলিম সম্প্রদায়
2) Usuli মুসলিম সম্প্রদায়
শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের তৃতীয় বিভক্ত হলো
১) Zaidiyyah মুসলিম সম্প্রদায়
ইসলামের তৃতীয় বিভক্ত সম্প্রদায় হচ্ছে
১) Khawarji মুসলিম সম্প্রদায়
Khawarji সম্প্রদায়কে একটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে
১) Ibadiyya মুসলিম সম্প্রদায়
Ibadiyya সম্প্রদায় কে আবার ২ ভাগে ভাগ হয়েছে।
১) Nukkur মুসলিম সম্প্রদায়
2) Azzabas মুসলিম সম্প্রদায়

চলবে




No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ১/২৮/২

(যুদ্ধপ্রকরণম্) যুদ্ধের প্রকরণ চাতনঃ। (পূর্বার্ধস্য) অগ্নিঃ, (উত্তরার্ধাৎ) যাতুধান্যঃ। অনুষ্টুপ প্রতি দহ য়াতুধানান্ প্ৰতি দেব কিমীদিনঃ ৷  প...

Post Top Ad

ধন্যবাদ