অহল্যা উপাখ্যান - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

05 September, 2025

অহল্যা উপাখ্যান

 

🌙 রাত, চন্দ্র আর সূর্যের রূপক কাহিনি (ইন্দ্র ও অহল্যার কাহিনী)
ইন্দ্র ও অহল্যার কাহিনী হলো এক পৌরাণিক ঘটনা যেখানে দেবরাজ ইন্দ্র ঋষি গৌতমের স্ত্রী অহল্যাকে ছলনা করে তাঁর কাছে যান, যার ফলে গৌতম অহল্যাকে অভিশাপ দেন এবং ইন্দ্রকেও শাস্তি দেন। পরবর্তীতে, রাম অহল্যাকে তাঁর পূর্বের রূপে ফিরিয়ে আনেন এবং তাঁর অভিশাপ থেকে মুক্তি দেন ইত্যাদি...
সজ্জনরা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা এড়িয়ে মূলকথা ধরে রাখুক। 📚
বাস্তবে—রাতকে অহল্যা, চন্দ্রকে গৌতম আর সূর্যকে রাতের জার বলা হয়েছে। 🌌রাত চন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে সব প্রাণীর আনন্দ বাড়ায়। কিন্তু সূর্য ওঠার সঙ্গে রাত শেষ, চন্দ্রকে ছেড়ে যায়। ☀️
(ইন্দ্রোগচ্ছতি ইত্যাদি—শতপথ ব্রাহ্মণ ৩।৩।৪।১৮) এর অর্থ হলো, এখানে *ইন্দ্র* শব্দে সূর্য বোঝানো হয়েছে, আর রাতকে বলা হয়েছে অহল্যা, আর চন্দ্রকে ধরা হয়েছে গৌতমরূপে। এখানে রূপক-আলঙ্কার ব্যবহার করে রাতকে চন্দ্রের স্ত্রী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। চন্দ্র তার স্ত্রী রাতকে সঙ্গে নিয়ে রাত্রিকালে সব প্রাণীর আনন্দদায়ক হয়। কিন্তু এই রাতের *#জার* হল সূর্য, কারণ সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই রাত শেষ হয়ে যায়—অর্থাৎ চন্দ্রকে ছেড়ে দেয়।
বিশেষভাবে সূর্যকে রাতের জার বলা যায় এই কারণে যে সূর্য উঠলেই চন্দ্রের সঙ্গে রাতের মিলন বা শৃঙ্গার ভেঙে যায়। তাই রাত, চন্দ্র আর সূর্যকে স্ত্রী, স্বামী ও জার হিসেবে রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন স্ত্রী ও পুরুষ একসঙ্গে থাকে, তেমনি রাত আর চন্দ্রও একত্র থাকে। চন্দ্রকে *#গৌতম* বলা হয় এই কারণে যে চন্দ্র অতি দ্রুতগামী। আর রাতকে *#অহল্যা* বলা হয় এই কারণে যে এই রাতে দিন লীন হয়ে যায়। আবার সূর্যই রাতের অবসান ঘটায়, তাই সূর্যকে রাতের জার বলা হয়েছে। এই দারুণ রূপক-আলঙ্কারকে অল্পবুদ্ধি ও বিদ্যাহীন মানুষ নষ্ট করে এর অনর্থ প্রকাশ করে, যার ফলে সকলেরই ক্ষতি হয়। তাই সজ্জন মানুষদের উচিত পুরাণে বর্ণিত মিথ্যা ও অনর্থক কথাগুলোকে মূল থেকে ত্যাগ করা।
রেফারেন্সঃ @highlight
শতপথ ব্রাহ্মণ ৩।৩।৪।১৮
শতপথ ব্রাহ্মণ ৩।৩।২।১
#শতপথ_ব্রাহ্মণ ১।৬।৪।১৮
নিরুক্ত ৩।১৬
#নিরুক্ত ২।৬
#যজুর্বেদ ১৮।৪০ ষু॒ম্ণঃ সূর্য়॑রশ্মিশ্চ॒ন্দ্রমা॑ গন্ধ॒র্বস্তস্য॒ নক্ষ॑ত্রাণ্যপ্স॒রসো॑ ভে॒কুর॑য়ো॒ নাম॑ ।
স ন॑ऽই॒দং ব্রহ্ম॑ ক্ষ॒ত্রং পা॑তু॒ তস্মৈ॑ স্বাহা॒ বাট্ তাভ্যঃ॒ স্বাহা॑ ॥
পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! যাহা (সূর্য়্যরশ্মিঃ) সূর্য়্যের কিরণ যুক্ত (সুষুম্ণঃ) যদ্দ্বারা উত্তম সুখ হয় (গন্ধর্বঃ) এবং যাহা সূর্য্যের কিরণসমূহকে ধারণ করিয়া আছে উহা (চন্দ্রমাঃ) সকলকে আনন্দ প্রদানকারী চন্দ্রলোক (তস্য) তাহার যে (নক্ষত্রাণি) অশ্বিনী আদি নক্ষত্র এবং (অপ্সরসঃ) আকাশে বিদ্যমান কিরণগুলি (ভেকুরয়ঃ) প্রকাশকারিণী (নাম) প্রসিদ্ধ তাহারা চন্দ্রের অপ্সরা (সঃ) তাহা যেমন (নঃ) আমাদেরকে (ইদম্) এই (ব্রহ্ম) অধ্যাপনকারী ব্রাহ্মণ এবং (ক্ষত্রম্) দুষ্টদিগের নাশকারী ক্ষত্রিয় কুলের (পাতু) রক্ষা করে (তস্মৈ) উক্ত সেই প্রকারের চন্দ্রলোকের জন্য (বাট্) কার্য্যনির্বাহপূর্বক (স্বাহা) উত্তম ক্রিয়া এবং (তাভ্যাঃ) সেই সব কিরণের জন্য (স্বাহা) উত্তম ক্রিয়া তোমাদিগকে প্রযুক্ত করা উচিত ॥ ৪০ ॥
ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগকে চন্দ্রাদি লোক হইতেও তাহাদের বিদ্যা দ্বারা সুখ সিদ্ধ করা উচিত ॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মার অজাচারের সত্যতা

  শতপথ ব্রাহ্মণের পৌরাণিক ভাষ্য  অনুসারে প্রজাপতি তার কন্যা দৌঃ বা ঊষার প্রতি কামার্ত হয়ে তার সাথে সহবাস করেছিলেন। দেবতাদের চোখে প্রজাপতির ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ