পশুষু পঞ্চবিধং সামোপাসীত। অজাঃ হিঙ্কারোSবয়ঃ প্রস্তাবো, গাব উদ্গীথোSশ্বাঃ প্রতিহারঃ, পুরুষোনিধনম্॥ (ছান্দোগ্য ২।৬।১)
পশুষু। পঞ্চবিধম্। সাম। উপাসীত। অজাঃ। হিঙ্কারঃ। অবয়ঃ। প্রস্তাবঃ। গাবঃ। উদ্গীথঃ। অশ্বাঃ। প্রতিহারঃ। পুরুষঃ। নিধনম্॥
অনুবাদঃ- উপাসকের পশুবিষয়ে পঞ্চবিধ সামবিধির তত্ত্বাবধারণ করা দরকার। অজঃ (ছাগ) হিঙ্কার, অবি (মেষ) প্রস্তাব, গরু উদ্গীথ, অশ্ব প্রতিহার এবং পুরুষ নিধন॥
বিঃদ্রঃ হিঙ্কার বিধি তিন বা সমস্ত উদ্গাতা দ্বারা আরম্ভ করা হয় [ সামবেদের পুরোহিত উদ্গাতা ], উদগাতাবৃন্দ গীতের সময় 'হিং' বা 'হুম্' শব্দের উচ্চারণ অধিক করায় 'হিঙ্কার' নাম এসেছে। প্রস্তোতার (উপস্থাপক) গাওয়া সামের গান কে 'প্রস্তাব', উদ্গাতার গেয় সামকে উদ্গীথ, প্রতিহর্ত্তার গাওয়া গীতকে প্রতিহার, সকলে মিলে যে গান করা হয় তাকে 'নিধন' বলা হয়।
ছান্দোগ্য উপনিষদ্ সামবেদের তাণ্ড্য শাখার ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অন্তর্ভূত। অন্য উপনিষদের মতো এই উপনিষদেরও মূখ্য উদ্দেশ্য মোক্ষ প্রাপ্তির জ্ঞান। এখানে প্রথমতঃ উদ্গীথের প্রথমাক্ষর 'ওঙ্কার'কে অবলম্বন করে উপাসনার বিধি প্রদর্শিত। পরে 'হিঙ্কার' 'প্রস্তাব' 'গায়ত্রী' 'প্রাণ' ইত্যাদি উপাসনাবিধি বর্ণিত হয়েছে। এই উপাসনা বিধানের উদ্দেশ্য-কর্মাঙ্গভূত উপাসনার ফলে চিত্তের চাঞ্চাল্য দূর হয় ও চিত্ত বিশুদ্ধ হয়, তার ফলে উপাস্যের প্রতি অখণ্ড মনোনিবেশ করার সামর্য্যও লাভ হয়। এই অবস্থায় ব্রহ্মবিষয়ক উপদেশ প্রদত্ত হলে তা আয়ত্ত করতে বিশেষ আয়াস স্বীকার করতে হয় না, অল্প চেষ্টাতেই উপদেশের মর্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করতে সমর্থ হয়। "ওমিতি হ্যুদ্গায়তি তস্যোপব্যাখ্যানম্"(ছান্দো০১।১।২) যে হেতু "ওম্" এই অক্ষর প্রথমে উচ্চারণপূর্বক উদ্গান অর্থাৎ উচ্চৈঃস্বরে গান করা হয়, এই জন্যই ওঙ্কার উদ্গীথ বলে অভিহিত হয়। "ওম্" এই অক্ষরই উদগীথ (ছা০১।১।৬)। ঋগ্বেদের পুরোহিতের নাম হোতা। সামবেদের পুরোহিতের নাম উদ্গাতা। যজুর্বেদের পুরোহিতের নাম অধ্বর্যু। অথর্ববেদের পুরোহিতের নাম ব্রহ্মা।
#ছান্দোগ্য ২/৬/১
#ছান্দোগ্যউপনিষদ
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ