मा꣡ न꣢ इन्द्र꣣ प꣡रा꣢ वृण꣣ग्भ꣡वा꣢ नः सध꣣मा꣡द्ये꣢ ।
त्वं꣡ न꣢ ऊ꣣ती꣢꣫ त्वमिन्न꣣ आ꣢प्यं꣣ मा꣡ न꣢ इन्द्र꣣ प꣡रा꣢ वृणक् ॥२६०॥
এখানে 'মা ন ইন্দ্র পরা বৃণক্' এই অংশের পুনরুক্তির দ্বারা প্রবল ইচ্ছে সূচিত হয়। নিরুক্তকার বলেন যে, পুনরুক্তিতে সুবিশাল অর্থ লুকিয়ে থাকে। যেমন অদ্ভুত বস্তুকে দেখে দ্রষ্টা বলেন, 'অহো দর্শনীয়, অহো দর্শনীয়।' (নিরু০ ১০।৪০) ॥৮॥
সরলার্থঃ হে পরমেশ্বর্যবান পরমেশ্বর ! তুমি আমাদের ত্যাগ করো না। যেখানে আমরা একসাথে আনন্দে বিদ্যমান থাকি, সেই গৃহ, যজ্ঞ প্রভৃতিতে তুমি আমাদের সহায়ক হও। তুমি আমাদের রক্ষক, তুমিই আমাদের পরম বন্ধু। হে পরমেশ্বর! তুমি আমাদের ত্যাগ করো না অর্থাৎ আমাদের কৃপা থেকে বঞ্চিত করো না ॥৮॥
ভাবার্থঃ পরমেশ্বর সর্বত্র বিদ্যমান। তবুও আমরা পরমেশ্বরকে অনুভব করতে পারি না। কিন্তু যখন সাধনার মাধ্যমে পরমেশ্বরকে অনুভব করতে পারি, তখন পরমেশ্বর আমাদের অতি আপন, পরম বন্ধু বলে মনে হয়। তখন আমাদের মনের মধ্যে একটি তীব্র প্রার্থনা সৃষ্টি হয় যে, 'হে ঈশ্বর ! আমরা যেন আর কখনো তোমাকে ভুলে না যাই। কারণ আমরা যদি তোমাকে ভুলে যাই, তখন আমাদের মনে হয় তুমিই যেন আমাদের ত্যাগ করে চলে যাচ্ছ। তাই হে পরমেশ্বর! তুমি কখনো আমাদের মন, প্রাণ, বুদ্ধি, হৃদয়কে থেকে চলে যেও না।' ॥৮॥
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ