"গীতা কা রহস্য" পুস্তকের পৃষ্ঠা নম্বর ১১৮ তে লেখক আচার্য প্রদীপ কুমার শাস্ত্রী জী নিজের মত পোষন করেছেন "মহর্ষি গীতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছিলো, তিনি শেষ জীবনে গীতাকে অপ্রামাণিক এবং অমান্য মানতেন।" এই কথন সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
উক্ত পৃষ্ঠাতে তিনি শ্রী কুন্দনলাল জী আর্যের "মহর্ষি দয়ানন্দ ও গীতা" যে অংশ উদ্ধৃত করেছেন সেখানে তিনি নিজেই বলেছেন এটা অবতার খন্ডনের ব্যাখ্যান ছিলো। মহর্ষি কে একজন পৌরাণিক পন্ডিত অবতার বাদ নিয়ে.. গীতার প্রক্ষিপ্ত শ্লোকে তর্ক করায় মহর্ষি গীতার ঐ সমস্ত শ্লোক কে অপ্রামানিক বলেন তিনি বেদ থেকে প্রমাণ দিতে বলেন।
একই রকম ঘটনা ১৯৩৮ সালে রাজা গোবিন্দ সিংহের কাছে অবতারবাদ নীয়ে গীতার শ্লোক অপ্রামাণিক বলেন। পন্ডিত লেখরাম জী কৃত মহর্ষির জীবন চরিত্র পড়লে দেখা যাবে, মহর্ষি গীতা নিয়ে নানা সময় ব্যাখ্যান দিতেন এবং নানা পন্ডিত কে পরাভূত করতেন। যারা মহর্ষির জীবন চরিত্র ঠিক মতো পড়ে অনুধাবন করতে পারেন নি তারা নানা রূপ আক্ষেপ করে থাকেন। মহর্ষি গীতার শ্লোক মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আবৃত্তি করতেন, ও সত্যার্থ প্রকাশে তিনি কি ধরনের পুস্তক পড়তে বলছেন। গীতা নিয়ে যাদের সমস্যা তাঁরাই আবার গীতা নিয়ে ব্যখ্যান কেন দেন, কেন তাঁরাই আবার নানা ভাষ্যরচনা করেন ?!!
আর্য সমাজের ভেতর কি ধরনের মানুষ আছে, মহর্ষির সময় থেকে এবং মহর্ষির ভাবধারা কে কিভাবে কুলশিত করার চেষ্টা করা হয়েছে তা সত্যার্থ প্রাকাশ (সুরেন্দ্র কুমার জীর সংস্করন) পড়লে পাঠকগন বুঝতে পারবেন।
ভারতের কিছু কিছু গুরুকুলে গীতার শ্লোক নিয়ে আচার্য জীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাখ্যান দিয়ে থাকেন, গীতা সকলের সন্মান করা উচিত। গীতার নানা শ্লোক নিয়ে মহর্ষি দয়ানন্দ জীও ব্যাখ্যান দিতেন, এবং গীতার
শ্লোকর সঠিক অর্থ করে মানুষকে সরল ভাবে বুঝিয়ে দিতেন। সত্যার্থ প্রকাশে তিনি উপদেশ দেওয়ার জন্য গীতার অনেক শ্লোক ব্যবহার করেছেন, এবং "সংস্কার-বিধি" [১৮৭৫ খ্রীঃ] পুস্তকে গীতার শ্লোক ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তিনি সমস্ত অনার্ষ গ্রন্থ কে অপ্রামান্য হিসেবেই গন্য করেছেন।
সত্যার্থ প্রকাশের পঠন পাঠন বিধি তে বলেছেন "মনুস্মৃতি, বাল্মীকীয় রামায়ণ এবং মহাভারতের উদ্যোগপর্ববান্তর্গত বিদুরনীতি প্রভৃতি যে সকল প্রবন্ধ হইতে দুষ্ট ব্যসন দুরীভূত হয় এবং উত্তমতা ও সত্যতা প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাদৃশ উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট প্রকরণ কাব্যরীতি আনুসারে পাঠ করিবে, স্মৃতিগ্রন্থ মধ্যে মনুস্মৃতিই উত্তম; কিন্তু উহাতেও প্রক্ষিপ্ত শ্লোক পরিত্যাজ্য। যেরূপ ঋক্, সাম, যজু এবং অথর্ব্ব এই চারি বেদ ঈশ্বরকৃত, তদ্রূপ ঐতয়ের, শতপথ, সাম ও গোপথ, এই চারি ব্রাহ্মণ, শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিঘণ্ট, নিরুক্ত, ছন্দ এবং জ্যোতির এই ছয় বেদাঙ্গ, মীমাংসাদি শাস্ত্র বেদের উপাঙ্গ, আয়ুৰ্ব্বেদ, ধনুর্ব্বেদ, গান্ধর্ববেদ এবং অর্থবেদ এই চারি, বেদের উপবেদ ইত্যাদি সমস্ত ঋষিপ্রণীত গ্রন্থ ! ইহাতেও যাহা যাহা বেদবিরুদ্ধ বোধ হইবে, তৎসমুদর পরিত্যাগ করিতে হইবে। কারণ বেদ ঈশ্বরকৃত বলিয়া, উহা অভ্রান্ত ও “স্বতঃ প্রমাণ"। ঐতরেয় এবং শতপথ প্রভৃতি ব্রাহ্মণ গ্রন্থেরই ইতিহাস, পুরাণ, কল্প, গাথা এবং নারাশংসী এই পাঁচ নাম। শ্রীমদ্ভাগবতাদির নাম পুরাণ নহে। [#সত্যার্থপ্রকাশ]"
আমার মতে গীতা একটি অতি উচ্চমানের উপদেশাত্বক স্মৃতি গ্রন্থ, যোগাচার্য স্বামী রামস্বরূপ জীর গীতা ভাষ্য অনুযায়ী "ঋষি-মুনি ও যোগীগন ঈশ্বরের কৃপায় তাদের মধ্যে প্রকট বৈদ মন্ত্রগুলি সাক্ষাত করার পর, অনুসন্ধিৎসুদের কাছে মন্ত্রগুলির সবচেয়ে গোপন রহস্য উন্মোচন করেন এবং তাদের বিদ্যান বানান" উদাহরণ স্বরূপ, যজুর্বেদ মন্ত্র ১।১।। তাঁর মতে গীতার মধ্যে অথর্ববেদ, যজুর্বেদ, ঋগ্বেদের মন্ত্র, যোগ সূত্রের সূত্র ও উপনিষকারের ভঙ্গিতে কিছু শ্লোক ও পাওয়া যায়,...এর সমাদর করা উচিত। আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্ঠিক জীর সাথে সাথে অনেক আর্য পন্ডিতদের মতে অনুমান সাপেক্ষ অর্জূনকে যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করার জন্য যে সকল শ্লোক সে সকল ছাড়া বাকী শ্লোক গীতার প্রক্ষিপ্ত শ্লোক। মহর্ষির মতে গীতায় অবতার বাদ সিদ্ধ করার জন্য শেষের দিকের অনেক অধ্যায় প্রক্ষিপ্ত, এবং এর বেদ বিরূদ্ধ শ্লোক গুলো তিনি কোন দিনই মানতেন না। এই সম্বন্ধে জানার জন্য আর্যমুনিকৃত হিন্দি "বৈদিক গীতা" পড়ে দেখতে পারেন।
 |
"মহর্ষি দয়ানন্দ কা জীবন-চরিত"_শ্রীদেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রণীত
|
 |
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী কা জীবন চরিত্র পৃঃ ৬৮
 শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার অনেক ভাষ্য রচিত হয়েছে। প্রাচীন ও অর্ধ-প্রাচীন সকল প্রকার পণ্ডিতগণই গীতার অর্থ প্রকাশে নিজেদের রচনার দক্ষতা দেখিয়েছেন। বর্ত্তমানে গীতার নানান ভাষ্যকার যেমন ভাষ্য করেছেন তেমন আর্য সমাজের নানা পন্ডিত গীতার ভাষ্য করেছেন তাঁদরে মধ্যে বৈদিক ভাষ্যকার পন্ডিত আর্যমুনি জী, স্বামী আত্মানন্দ জী সরস্বতী "বৈদক গীতা" [গীতা] ভাষ্য করে প্রকাশিত করে দেখিয়েছেন গীতার কোন কোন শ্লোক গুলো কি কি কারনে প্রক্ষিপ্ত। অনুরূপ গীতা ও কোন সংশয় গ্রন্থ নয়। গীতার অনেক শ্লোক প্রক্ষিপ্ত যেমন চতুর্থ অধ্যায়ের শুরু থেকে ২৫ টি শ্লোক [স্বামী আত্মানন্দ জী]। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী গীতার কিছু কিছু শ্লোক এমন কি শেষের দিকের অনেক অধ্যায় কেই প্রক্ষিপ্ত বলে স্বীকার করেছেন। মহর্ষি দয়ানন্দের জীবন চরিত্র থেকে জানা যায় তিনি, অনেক সময় গীতার ব্যাখ্যান দিতেন ও গীতা পড়ানোর সাধে সাথে তিনি গীতার শ্লোকের সঠিক ভাষ্যও করে দিতেন। কিন্তু তিনি গীতা কে কখনই প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসাবে গ্রহণ করেন নি, তিনি বেদ, উপনিষদ, দর্শন আদি ঋষিকৃত গ্রন্থ প্রামাণ্য বলে স্বীকার করতেন। তিনি গীতার শ্লোক গুলির মধ্যে যে গুলি বেদ অনুকূল সেগুলি বেদ অনুকূল হওয়ার জন্য মানতেন। অন্য শ্লোক গুলি অনেক সময় গ্রহনযোগ্য অর্থ করে দিতেন।
গীতার মধ্যে যেমন পরস্পর বিরোধী শ্লোক আছে, নানা সম্প্রদায়িক মতও তেমন আছে। গীতা পাঠ করলে স্বাভাবিক ভাবেই বুঝতে পারা যায়.. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে ঈশ্বর সিদ্ধ করার তাগিদে, শ্রীকৃষ্ণের মুখ দিয়ে কিছু শ্লোক বৈষ্ণব সম্প্রদায় ইচ্ছে করে বলিয়ে দিয়েছেন। আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্ঠিক জী বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুন সংবাদে যুদ্ধে অনুপ্রেরনা দেওয়া প্রসঙ্গে কিছু শ্লোক গ্রহণযোগ্য, বাকী অপ্রাসঙ্গিক শ্লোক গুলি গ্রহণযোগ্য নয়।
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী মহাভারতকারের ন্যায় শ্রীকৃষ্ণজীকে আপ্তপুরুষ মানতেন, আপ্ত পুরুষের কথন যেহেতু শব্দ-প্রমান সেই হেতু তিনি গীতার যে শ্লোক গুলো মনুস্মৃতি আদি প্রামাণ্য গ্রন্থ অনুকুল সেই শ্লোক গুলি সত্যার্থ প্রকাশ ও সংস্কার-বিধি তে ব্যবহার করেছিলেন। সম্পূর্ণ গীতা কে আর্য সমাজের কোন বড় মাপের পন্ডিত অস্বীকার করেন নি, গীতা প্রক্ষিপ্ত বলেছেন। অর্থাৎ কোন মূল অংশ কে প্রক্ষিপ্ত করা হয়েছে। মূল অংশ না থাকলে কি করে প্রক্ষিপ্ত হবে !?
গীতা ধর্মগ্রন্থের ন্যায় শ্রদ্ধেয় গ্রন্থ কিন্তু গীতা ধর্ম্মগ্রন্থ নয়। গীতার নাম থেকেই বুঝতে পারা যায় "গীয়তে ইতি গীতা" গীতউপদেশ অর্থাৎ গীতের (গানের) মাধ্যমে এক উপদেশাত্বক গ্রন্থ।
গীতা বর্ত্তমান মহাভারতের ভীষ্মপর্বের অংশ। গীতার রচনা কৌশল দেখে অনেকে গীতা কে উপনিষদ্ [গীতোপনিষদ] বলে থাকেন, শ্রীকৃষ্ণ জী অর্জুন কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা বেদ, উপনিষদ আদি গ্রন্থের স্মৃতিচারণ তাই গীতা স্মৃতিশাস্ত্রের অন্তর্গতও মনে করা হয়। বাস্তবে মুখ্য স্মৃতি গ্রন্থ গুলি ১৮ টি মনু, যাজ্ঞবল্ক্য, পরাশর, আপস্থম্ভ, নারদ, অত্রি, বিষ্ণু, হরিত, আউশনাসী ইত্যাদি; এর মধ্যে মনুস্মৃতি প্রসিদ্ধ। কিছু উপস্মৃতি ও পাওয়া য়ায়। গীতা উপদেশাত্মক স্মৃতি গ্রন্থ অথবা উপস্মৃতি গ্রন্থ বলা যেতে পারে। গীতা কে দার্শনিক গ্রন্থ ও বলা যায়, অনেকে গীতা কে সমন্বয় শাস্ত্রও বলে থাকেন। মহর্ষিরা শ্রুতির মন্ত্র গুলি যখন স্মৃতির সাহায্যে ধর্মশাস্ত্রের গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তাদের "স্মৃতি গ্রন্থ" বলা হয়। ডঃ সুকথংকর নেতৃত্বে মহাভারতের সংশোধক মন্ডলী মহাভারত প্রক্ষিপ্ত প্রমান ও স্বীকার করেছেন এবং অধ্যাপক হপ্কিন্সের সাথে সাথে তিনিও গীতার মধ্যে অসঙ্গতি স্বীকার করলেও ভীষ্মপর্বের গীতা অংশ কে সম্পূর্ণ রূপ অস্বীকার করেন নি। ডঃ শ্রীপদ কৃষ্ণ বলভেলকর প্রমাণ মহাভারতের ভীষ্ম পর্বে ১২২ অধ্যায়, ৫৮৬৯ শ্লোক থেকে সংশোধিত করে ১১৭ অধ্যায় ও ৫৪০৬ শ্লোক গ্রহন করে মোট ৪৬৩ শ্লোক বাদ দিয়েছেন উদাঃ ২৩ অধ্যায়ের দুর্গাস্তোত্র।
প্রচলিত গীতার ৭০০ শ্লোক দ্বিরুক্তি ও বাহুল্যবর্ণন দোষে দুষ্ট, ৭০ শ্লোকের যে গীতা পাওয়া গিয়েছে তা একরকম দোষ মুক্ত থাকয় অনেকে এটা মূল প্রাচীন অংশ বলে মনে করেন। গীতার শ্লোক গুলি অনুষ্টুপ ও ত্রিষ্টুপ ছন্দে রচনা করা হয়েছে। লোকমান্য তিলকের 'গীতা রহস্য' নামক পুস্তে বলেছেন "বর্তমান গীতা মহাভারতকার প্রথম গ্রন্থের ভিত্তিতে রচনা করেছেন, তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না মূল গীতায় মহাভারতকার কোন পরিবর্তন করেন নি।" রাববাহাদুর চিন্তামণি বৈদ্য মহাভারতের কর্তা তিন জন বিবেচনা করেছেন-ব্যাস, বৈশম্পায়ন এবং সৌতি। তাঁর ব্যাখ্যা অনুসারে, ব্যস জী "জয়" নামে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, তাঁর শ্লোক সংখ্যা নির্ণয় করার কোন ভিত্তি নেই। এর পর বৈশম্পায়ন কিছু যোগ করেন নাম দেন "ভারত"। বৈদ্য জী "ভারত" এর শ্লোক সংখ্যা ২৪,০০০ বলে অনুমান করেছিলেন, এই অনুমান আদিপর্বে লিখিত সৌতির সূচীর ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। বৈদ্য এও অনুমান করেন সৌতি বাকি ৭৬০০০ এর মতো শ্লোক রচনা করেন। পরে আরো মিশিত হয়েছিলো এবং বড় হতে হতে বর্তমান প্রমাণ আকার ধারন করে "মহাভারত" হয়েছে। যদিও মহাভারতের শব্দে মনে হয় না যে এই ৭৬০০০ শ্লোক সৌতি রচিত—এখানে বিষয়বস্তু বিভাজনের পদ্ধতিতে সংহিতার ৪৯ নম্বর আখ্যানকে আলাদা করা হয়েছে—কিন্তু ১৪,০০০ শ্লোকের মধ্যে ৪টির নামকরণ করা হয়েছে। ভারত সংহিতা, এবং তিনি ভাষা এবং আবেগের মধ্যে পার্থক্য দেখে এটি অনুমান করেছেন। বৈদ্য জী বৈশম্পায়নকে ব্যাসের প্রত্যক্ষ শিষ্য হিসাবে বিবেচনা করেননি, কারণ বৈশম্পায়ন জনমেজয়ের সময় ছিলেন। আদি পর্বে (৬৩।৬০) লেখা আছে যে জৈমিনি, পায়েল, শুকদেব আদি পাঁচজন শিষ্য ব্যাসের কাছ থেকে মহাভারত পড়েছিলেন এবং পাঁচটি ভারত সাহিত্য রচনা করেছিলেন। মহাভারত সাম্প্রদায়ীক মতভেদ থাকার জন্য প্রয়োজন মতো মহাভারতে অনেক শ্লোক যুক্ত ও বিযুক্ত করা হয়েছে।
আর্য গীতায়, গীতার আর্য ভাষ্যকারের মতে যোগীরাজ শ্রীকৃষ্ণের মতো একজন পরিণত বক্তার উপদেশে পুনরাবৃত্তি ও দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। এবং তারপর যখন সেই ব্যাসজির মতো একজন পন্ডিত সম্পাদক দ্বারা সম্পাদনা করা হয়, তখন এটি সোনায় আরও সুগন্ধযুক্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তবুও বর্তমান গীতায় এই ত্রুটিগুলি দৃশ্যমান। আর এই সব ত্রুটি থেকে গীতাকে বাঁচাতে তিনি এর থেকে প্রক্ষিপ্ত অংশকে আলাদা করে দেখিয়েছেন। তবে তিনি যেগুলি প্রক্ষিপ্ত বলেছেন তা তর্ক সঙ্গত, তিনি তাঁর পুস্তকের প্রারম্ভে বলেছেন তিনি নতমস্তক হয়ে কৃপালু বিদ্যানদের তাঁর ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন যাতে পরবর্তী কালে সংশোধন করতে পারন। তিনি যা প্রক্ষিপ্ত বলেছেন তা নিশ্চিত করে প্রক্ষিপ্ত বলেন নি বলেছেন যুক্তি দিয়ে, তা প্রক্ষিপ্ত নাও হতে পারে। বৈদিক গীতা হিন্দি পড়ে দেখুন। ধন্যবাদ।।
|
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ