বৈষ্ণবদের নয়নের মণি হল,ভাগবত পুরাণ।
ভাগবত পুরাণ নাকি,চারিবেদের সমান গুরুত্ব সম্পন্ন(12.4.42) এবং অন্যান্য পুরাণের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম (12.13.16)
ভাগবত পুরাণ ও মহাভারতের শ্লোক থেকে বৈষ্ণবরা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব প্রমাণের মিথ্যা চেষ্টা করে।
প্রমাণ দেখুন--------
কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্রপার্ষদম্ ।
যজ্ঞৈঃ সঙ্কীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ ॥ ৩২ ॥
••ভাগবত পুরাণ_স্কন্ধ_11_অধ্যায়_5_শ্লোক_32
প্রকাশক_ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট(ইস্কন)
অনুবাদক_শ্রীল প্রভুপাদ
••অন্বয়_কৃষ্ণ-বর্ণম—কৃষ্-ণ শব্দাংশগুলি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে, ত্বিষা–ঔজ্জ্বল্য সমন্বিত, অকৃষ্ণম্—কৃষ্ণবর্ণ নয় (গৌরবর্ণ), স-ঙ্গঃ—সঙ্গীসাথী সহ; উপ-অঙ্গ—সেবকগণ, অস্ত্র—অস্ত্রশস্ত্র; পার্ষদম্—একান্ত সহচরবৃন্দ; যজ্ঞেঃ—যজ্ঞের মাধ্যমে, সঙ্কীর্তন প্রায়ৈঃ—মূলত সঙ্ঘবদ্ধভাবে সংকীর্তনের দ্বারা; যজন্তি—তাঁরা ভজনা করে; হি- অবশ্যই: সু-মেধসঃ—বুদ্ধিমান মানুষেরা।
•অনুবাদ_কলিযুগে যেসব বুদ্ধিমান মানুষেরা ভগবৎ-আরাধনার উদ্দেশ্যে সঙ্কীর্তন যজ্ঞানুষ্ঠান করেন, তাঁরা অবিরাম শ্রীকৃষ্ণের নামগানের মাধ্যমে ভগবৎ-অবতারের আরাধনা করে থাকেন। যদিও তাঁর দেহ কৃষ্ণবর্ণ নয়, তা হলেও তিনিই স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে পার্ষদরূপে রয়েছেন তাঁর অন্তরঙ্গ সঙ্গীরা, সেবকগণ, অস্ত্র এবং সহযোগীবৃন্দ।
![]() |
| শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কি অবতার ? |
এই শ্লোকের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রভুপাদ বলেছেন যে,
এই একই শ্লোক শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের আদিলীলা খণ্ড, 3নং অধ্যায়ের 52 নং শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ কর্তৃক উল্লিখিত হয়েছে।
কিন্তু,শ্রীল প্রভুপাদ হলেন, শিক্ষিত মূর্খ।
এই শ্লোকটির অন্বয় বা পদের অর্থ দেখুন,সেখানে "অকৃষ্ণম্" শব্দটির প্রভুপাদ অনুবাদ করেছেন, 'কৃষ্ণবর্ণ নয়'। কিন্তু,তারপর অতি ধূর্ততার সহিত ব্যাকেটে লিখে দিয়েছেন,'গৌরবর্ণ'।
কৃষ্ণবর্ণ নয় মানেই,গৌর বা ফর্সা হতেই হবে?
বাদামী বর্ণ বা শ্যাম বর্ণের হতেও তো পারে!!
প্রভুপাদের মত কৃষ্ণভক্তের এইরকম প্রতারণাপূর্ণ অনুবাদের কারণ কি?!!
তারপর দেখুন বলা হয়েছে,অবতারের সাথে,তাঁর সহযোগীবৃন্দ ও অস্ত্র-শস্ত্র থাকবে।
চৈতন্য মহাপ্রভু ও তাঁর সঙ্গী নপুংশক বৈষ্ণবদের হাতে অস্ত্র থাকত না,এটা সবাই জানে।
সুতরাং,ভাগবতের এই শ্লোক দ্বারা, চৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব প্রমাণ হয় না।
ভাগবত পুরাণ একাদশ স্কন্ধের প্রথম ভাগের, চতুর্থ সংস্করণ(2010), এর স্কন্ধ_11_অধ্যায়_5_শ্লোক_32(পৃষ্ঠা- 384 ও 385) এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন যে,শ্রীল জীব গোস্বামী মহাভারতের একটি শ্লোক উদ্ধৃত করে, মহাপ্রভুর অবতারত্ত্ব প্রমাণ করেছেন।
সুবর্ণবর্ণো হেমাঙ্গো বরাঙ্গশ্চন্দাঙ্গদী।
সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শান্তো নিষ্ঠাশান্তিপরায়ণঃ---
অনুবাদ- তাঁর পূর্বলীলায় তিনি গৌরবর্ণ গৃহস্থ রূপে আবির্ভূত হন। তাঁর সুন্দর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং তাঁর চন্দনচর্চিত দেহ গলিত স্বর্ণের মত উজ্জ্বল মনে হত। তাঁর পরবর্তী লীলায় তিনি সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করেন এবং তিনি শান্ত ও নিষ্ঠাবান হয়ে ওঠেন।
সুবর্ণবর্ণো হেমাঙ্গো বরাঙ্গশ্চন্দাঙ্গদী।
বীরহা বিষমঃ শূন্যো ঘৃতাশীরচলশ্চলঃ।
••মহাভারত_
অনুশাসন পর্ব_অধ্যায়_149_শ্লোক_92
বিষ্ণুর গাত্র চন্দনের প্রলেপ এবং বাহুদ্বয় অলঙ্কার দ্বারা সুশোভিত।
বিষ্ণু হলেন মহান শূরবীর এবং শত্রুবিনাশকারী।
যার তুল্য কেউ নেই এমন অনুপম, সমস্ত বিশেষণ রহিত, দ্রবিত সংকল্পকারী, অচল, বায়ু রূপে সর্বত্র গমনকারী হলেন বিষ্ণু।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কিভাবে এবং কবে শূরবীর ও শত্রুবিনাশকারী হলেন?
মহাপ্রভু অচল কিভাবে হলেন, তিনি তো সচল হতেন!!
মহাপ্রভু বায়ুরূপে সর্বত্র গমনকারী ছিলেন এই কথা নিরেট মূর্খ বৈষ্ণব ছাড়া কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বিশ্বাস করবেন বলে মনে হয় না!!!
যজুর্বেদ অধ্যায়_40,মন্ত্র_8 অনুযায়ী ঈশ্বরের অবতার হয় না।
কিন্তু,বৈষ্ণব বেদ মানবে না।মানলে তো বৈষ্ণবদের খেটে খেতে হবে!!
এই প্রভু প্রভু ব্যবসা না চললে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্ভব নয়।

No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ