ওতম্ অশ্বিনা পুরুদংসসা নরা শবীরয়া ধীয়া।
ধিঞ্চ্যা বনতৎ গিরঃ।। ঋগ্বেদ-১।৩।২
পদার্থঃ হে বিদ্বানগণ ! আমাদের (পুরুদৎসসা) যেখানে শিল্পবিদ্যার জন্য অনেক কর্ম সিদ্ধ হইয়া (ধিঞ্চ্যা) যেমন যানবহানে বেগাদি তীব্রতাকে উৎপন্ন করিয়া প্রকল (নরা) সেই বিদ্যার ফলের দানকারী এবং (শবীরয়া) বেগ দানকারী (ধিয়া) ক্রিয়া দ্বারা কারিগরিতে যুক্ত করিবার যােগ্য আগুন এবং জল, সেই (গিরঃ) শিল্পবিদ্যার বর্ণনাকারী বাণীসমুহের (বনতম্) সেবনকারী হয়, এজন্য ইহা দ্বারা উত্তম প্রকার উপকার লইয়া থাক।।
সরলার্থঃ হে বিদ্বানগণ! আমাদের যেখানে শিল্পবিদ্যার জন্য অনেক কর্ম সিদ্ধ হইয়া যেমন যানবহনে বেগাদি তীব্রতাকে উৎপন্ন করিয়া প্রবল সেই বিদ্যার ফলের দানকারী এবং বেগ দানকারী ক্রিয়া দ্বারা কারিগরিতে যুক্ত করিবার যােগ্য আগুন এবং জল, সেই শিল্পবিদ্যার বর্ণনাকারী বাণীসমুহের সেবনকারী হয়, এজন্য ইহা দ্বারা উত্তম প্রকার উপকার লইয়া থাক।।
ভাবার্থঃ এখানেও অগ্নি এবং জলের গুণকে প্রত্যক্ষ দেখাইবার জন্য মধ্যম পুরুষের প্রয়ােগ করা হইয়াছে ইহা হইতে সব কারিগরের উচিত তীব্রবেগ দানকারী এবং নিজের পুরুষার্থ দ্বারা শিল্পবিদ্যার সিদ্ধির জন্য উক্ত অশ্বীর [শক্তি| 'উত্তম প্রকার হইতে যােজনা করেন। যে শিল্পবিদ্যার সিদ্ধি করিবার ইচ্ছা করেন, ওই পুরুষের উচিত যে বিদ্যা এবং হস্ত ক্রিয়া দ্বারা উক্ত অশ্বিকে [শক্তি] প্রসিদ্ধ করিয়া তাহা হইতে উপযােগ লইবে। সায়ণাচার্য আদি তথা বিলসন সাহেবগণ মধ্যম পুরুষের বিষয়ে নিরুক্তকার কতৃক কথিত বিশেষ অভিপ্রায়কে না জানিয়া এই মন্ত্রের অর্থ অন্যরকম করিয়াছে।। -( ভাষ্য মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী)

No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ