🌿 গোপথ ব্রাহ্মণের মহিমা 🌿
বেদের আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক রহস্য বুঝতে ব্রাহ্মণ গ্রন্থ পরম সহায়ক। এর মধ্যেই বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে গোপথ ব্রাহ্মণ — যা অথর্ববেদের পৈপ্পলাদ শাখা থেকে প্রাপ্ত।
📖 গঠন ও আকার
-
গোপথ ব্রাহ্মণকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—
-
পূর্বভাগ (পূর্ব গোপথ)
-
উত্তরভাগ (উত্তর গোপথ)
-
-
মোট ৫টি প্রপাঠক বা অধ্যায় রয়েছে।
-
ভাষা সহজ হলেও কোথাও কোথাও জটিল ও প্রাচীন রূপ দেখা যায়।
বেদের আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক রহস্যকে বোঝার জন্য ব্রাহ্মণ গ্রন্থসমূহ পরম সহায়ক। কারণ, হেতু, ন্যায়, ন্যায্যতা, প্রশংসা, বিধান এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর মাধ্যমে বেদের গুপ্ততত্ত্ব প্রকাশ করতে ব্রাহ্মণ গ্রন্থের ভূমিকা অতুলনীয়।
পৌমানি প্রসঙ্গে বহু অধ্যায়ে পাঠকবৃন্দ ব্রাহ্মণ গ্রন্থের মাহাত্ম্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। এখানে গোপথ ব্রাহ্মণ থেকে কিছু আলোকরশ্মি নিয়ে বেদমর্মজ্ঞদের সুখ-উপভোগার্থ উপস্থাপন করা হচ্ছে।
গোপথ ব্রাহ্মণের পরিচয়
গোপথ ব্রাহ্মণ অথর্ববেদের পৈপ্পলাদ শাখা থেকে প্রাপ্ত। অথর্ববেদের নয়টি শাখার মধ্যে সৌভাগ্যক্রমে আজ কেবল দুটি শাখা—শৌনক ও পৈল্লাদ—আমাদের কাছে উপলব্ধ। বাকী সাতটি শাখা আমাদের অবহেলা ও অকর্মণ্যতার পাশাপাশি বিদেশি আক্রমণের কারণে বিলুপ্ত হয়েছে। ফলে আমরা তাদের মধ্যে নিহিত বিপুল জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে বঞ্চিত। অথর্ববেদের যে সাহিত্য এখনও অবশিষ্ট, তাতেও দেশের অল্প কয়েকজন বেদবিশারদই সুপরিচিত। দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারীরা এই জ্ঞানের মাহাত্ম্য সম্পর্কে প্রায় সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
ঋষিদের নির্দেশ ছিল—জ্ঞানের উপাসকদের চার বেদ এবং ছয় অঙ্গসহ সম্পূর্ণ অধ্যয়ন করা উচিত। শাস্ত্রে বলা হয়েছে—যে রাষ্ট্রে অথর্ববেদ-বিদ্বানরা বসবাস করেন, সে রাষ্ট্র বিপদমুক্ত হয়ে উন্নতি করে—
“যত্র রাষ্ট্রে জনপদে অথর্বশাস্ত্রপারগঃ।
নিবসন্তি তত্র রাষ্ট্রং বর্ধতে নৃপবম্।।” (অথর্বপরিশিষ্ট ৪.৬.১)
অথর্ববেদে বিভিন্ন প্রকার জ্ঞান-বিজ্ঞান নিহিত রয়েছে, যার উন্মোচন গোপথ ব্রাহ্মণ-এ করা হয়েছে।
‘গোপথ’ নামের ব্যাখ্যা
ঋষি গোপথ কর্তৃক রচিত হওয়ায় এ ব্রাহ্মণকে গোপথ ব্রাহ্মণ বলা হয়। বৈদিক সাহিত্যে “গো” শব্দের বহু অর্থ আছে—গবেষণা, পৃথিবী, ভূমি, রশ্মি, ইন্দ্রিয়, গাভী, দুধ, সুখ ইত্যাদি। তাদের পথ বা গতিকে বলা হয় গোপথ। তাই গোপথ ব্রাহ্মণ শুধু ভৌতিক রাষ্ট্র-সুখের পথই নয়, বরং অমৃতত্বের পথও নির্দেশ করে।
গ্রন্থের সূচনাতেই ওঁকার-এর মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এখানে ওঁ-কে চার মাত্রা বিশিষ্ট রূপে ব্যাখ্যা করে চার আত্মার সঙ্গে তার সম্পর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি ওঁ থেকেই সৃষ্টির উৎপত্তি হয়েছে বলে উল্লেখ আছে—যা গভীর গবেষণার বিষয়। আধুনিক বিজ্ঞানও ক্রমে এসব সত্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
চার্য ও কর্তব্য
দ্বিতীয় অধ্যায়ে চার্য (আচার্য)-এর মহিমা এবং তার নিয়ম ও কর্তব্য বিস্তারিতভাবে আলোচিত। চার্য তপোবল, সংযম, পরিশ্রম, কর্তব্যনিষ্ঠার দ্বারা তিন লোককে পালন করেন। রাজাও চার্যের নির্দেশে রাষ্ট্ররক্ষা করে। চার্যের শক্তিতে দেবতারা মৃত্যুকেও জয় করে অমরত্ব অর্জন করে।
গোপথ ব্রাহ্মণের চার্য-সংক্রান্ত শিক্ষা ছাত্রজীবন ও সমাজকে সুসংস্কৃত, শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং ভক্তিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে পারে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টান্ত
এখানে বহু বৈজ্ঞানিক সত্যও প্রকাশিত হয়েছে। যেমন—গোপথ ব্রাহ্মণ (উত্তরভাগ ৪/১০)-এ লেখা আছে:
“পৃথিবী ঘোরে, সূর্য কখনো অস্ত যায় না; পৃথিবী ঘুরতে থাকায় সূর্য আড়াল হয়।”
এই সত্য আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কারের বহু হাজার বছর আগে ঋষিরা উপলব্ধি করেছিলেন। এতে আমাদের গৌরব বৃদ্ধি পায়।
সামাজিক শিক্ষা
গোপথ ব্রাহ্মণ বিভিন্ন স্থানে যোগ্য ঋত্বিক, যজমান, পরিবার ও সমাজের কর্তব্য শিক্ষা দিয়েছে। যেমন বলা হয়েছে—
“যদি ঋত্বিকগণ শক্তিশালী, সংযত ও যোগ্য না হন, তবে যজমানও অকেজো হয়ে যায়, যেমন ভাঙা ঘড়ায় পানি ভরে কোনো ফল হয় না।”
আবার পিতৃসেবা প্রসঙ্গে গোপথকার লিখেছেন—
“আমরা শৈশবে পিতৃ-মাতার ওপর নির্ভর করে বড় হয়েছি; এখন আমরা যখন যুবক হয়েছি, তখন আমাদের কর্তব্য পিতৃ-মাতাকে ভরণ-পোষণ করা।” (গো.পূ. ৪/৬)
এভাবে গোপথ ব্রাহ্মণের প্রতিটি বাণী মানবজীবন ও সমাজ গঠনে কার্যকর। প্রয়োজন কেবল ঋষিদের এই জ্ঞান-বিজ্ঞানকে আত্মস্থ ও অনুসরণ করা।
স্বামী সমর্পণানন্দ জী বৈদিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই দিকেই ক্রমাগত সচেষ্ট। বৈদিক সাহিত্যের জ্ঞান গ্রহণ ও পালন করলে আমরা সকলেই জাতির বাহক ও সংরক্ষক হয়ে উঠতে পারব।
মানবকে প্রকৃত অর্থে মানব রূপে গড়ে তোলার কৃতিত্ব সেই উৎকৃষ্ট জীবন-মূল্যগুলিরই, যার দ্বারা সে নিজের সাত্ত্বিক জীবন যাপন করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে, কোনো জাতির মর্যাদা নিরূপণ হয় সেখানকার জনগণের আচার-আচরণমূলক মূল্যবোধের ভিত্তিতে। প্রত্যেক জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি থাকে, যার সৃষ্টি হয় সেই মূল্যবোধের ভিত্তিতে, যা তাদের মহাপুরুষেরা নিজেদের জীবনে ধারণ করেছিলেন। বাস্তবিকই, সেই মূল্যবোধের মাধ্যমেই তাদের চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গৌরবময় হয়ে অক্ষরে অক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়েছে। কোনো দেশের ভৌতিক অগ্রগতিরও গুরুত্ব আছে, কিন্তু ভৌতিক অগ্রগতিকে সে দেশের দেহ বলা যেতে পারে, আর তাতে প্রাণসঞ্চার করে জীবনমূল্যই।
সংস্কৃত সাহিত্য বিশ্বে সর্বাধিক সমৃদ্ধ সাহিত্য। এতে মানবজীবনের অভ্যুদয় ও নি:শ্রেয়স সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ের পূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। এটি ভারতীয় সমাজের মহৎ ভাবনার এক মনোরম আয়না। এতে জীবনের প্রতিটি দিক, পুরুষার্থ চতুষ্টয় এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, ভৌতিক ও আধ্যাত্মিক জগতের নানা ঘটনা ও তত্ত্বের বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায়। মানবমনের উন্নত কল্পনা, হৃদয়ের অনুভূতির গভীরতা, ব্যাপকতা এবং বার্তাবাহিতার দিক থেকে সংস্কৃত সাহিত্য অনুপম ও অতুলনীয়। মহৎ মহিমায় অলংকৃত সংস্কৃত সাহিত্য অধ্যয়ন, চিন্তন ও মনন গৌরবের বিষয়। ভারতীয় আধ্যাত্মিক জীবন ও সাংস্কৃতিক সমুন্নতির প্রকাশক বেদ যুগযুগ ধরে শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে জ্ঞানপিপাসু মানবমনে তাদের সুরেলা ধ্বনি, আবেগময়তা, পরিশীলিত ভাষা এবং ছন্দের শ্রুতিমধুর তরঙ্গে রসোৎসার ঘটিয়ে আসছে।
বেদ ভারতীয় তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রাচীনতম, শ্রেষ্ঠতম ও সমৃদ্ধতম গ্রন্থরত্ন। সाक्षাত্কৃতধর্মা ঋষিদের নিরন্তর সাধনা ও তপস্যার দ্বারা প্রত্যক্ষীকৃত নির্মল জ্ঞানরাশি বেদই। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ—ত্রিকালিক স্থূল-সূক্ষ্ম, নিকট-দূর সমস্ত বিষয়ে সুস্পষ্ট জ্ঞানদানকারী বেদই হল চিরন্তন চক্ষু। বেদে সমগ্র জ্ঞানবিজ্ঞান, পরা ও অপরা—উভয় বিদ্যার আলোকধারা বহমান। বেদে সর্বত্র নৈতিক মূল্যের বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।
প্রথমে যদি "মূল্য" শব্দকে সংজ্ঞায়িত করি, তবে মূল্য হলো এক বিমূর্ত গুণ, যা কোনো বস্তুর মধ্যে নিহিত থাকে এবং তার গুরুত্বকে নির্দেশ করে। বৈদিক ধর্মের ধর্মীয় ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত যে নীতি-নিয়ম ও বিধি-বিধান রয়েছে, তার বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায় ব্রাহ্মণ গ্রন্থে। এই দৃষ্টিতে, ব্রাহ্মণ গ্রন্থকে বৈদিক ধর্মের প্রাচীনতম উৎস ও মানবজাতির প্রথম ধর্মগ্রন্থ বলা হয়। ব্রাহ্মণ গ্রন্থকে বেদসমকক্ষ ও সমসাময়িক বলা হয়েছে। এদের মধ্যে যেমন পার্থিব ক্রিয়াকলাপের বর্ণনা রয়েছে, তেমনি গভীর আধ্যাত্মিক চিন্তাও আছে। ব্রাহ্মণ গ্রন্থ অধ্যয়নের প্রতি বিদ্বানদের প্রবল আগ্রহ এর ব্যবহারিক গুরুত্বের প্রমাণ।
বৈদিক সাহিত্যের ধারাবাহিকতায় অথর্ববেদের গোপথ ব্রাহ্মণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলির মূল লক্ষ্য হলো যজ্ঞসম্পন্ন করা এবং যাজ্ঞিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞানের রহস্য উন্মোচন করা, তেমনি এই গ্রন্থেরও প্রধান প্রতিপাদ্য যাজ্ঞিক প্রক্রিয়াই। গোপথ ব্রাহ্মণের পূর্বভাগের দ্বিতীয় প্রপাঠকের শুরুতেই ব্রহ্মচারীর গুরুত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে বিশেষ আলোচনা আছে। "ব্রহ্ম" শব্দ থেকে বেদ, তপস্যা এবং সত্যের বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করাই ছাত্রের দায়িত্ব। উপনয়ন-সংস্কারের মাধ্যমে গুরু-সান্নিধ্যে থেকে ভিক্ষারূপে সমিধ আহরণ, অগ্নি-সেবা ও শ্রমের দ্বারা ছাত্র নিজের মধ্যে উজ্জ্বল ও স্বনির্ভর জীবনের ভিত্তি স্থাপন করত।
অথর্ববেদ (১১.৫.৯)-এ বলা হয়েছে যে আদর্শ ছাত্র বেদের জ্ঞান, পুরুষার্থ, লোকহিত, প্রজাপালক রাজা ও বিরাট পরমেশ্বরের গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই মন্ত্র থেকে বোঝা যায় যে ব্রহ্মচারীর উপর জ্ঞানার্জন ও সর্বাঙ্গীণ উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জাতিনির্মাণ ও লোকহিতের গুরুদায়িত্বও ন্যস্ত ছিল।
ব্রহ্মচার্য সূক্ত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শ্রীপাদ দামোদর সাতওলেকর বলেছেন—ব্রহ্মचारी সেই ব্যক্তি, যে "ব্রহ্ম" অর্থাৎ বড় হওয়ার জন্য "চারী" অর্থাৎ পুরুষার্থ সাধন করে। ব্রহ্ম শব্দের অর্থ বৃদ্ধি, গুরুত্ব, মহত্ত্ব, জ্ঞান, অমৃত ইত্যাদি; আর চারী শব্দের অর্থ আচরণ করা, নিয়মমাফিক সঠিক ব্যবহার করা। এই দুই শব্দ থেকে প্রকাশ পায়—উন্নতির জন্য চেষ্টা করা, সর্বদিক থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ার সাধনা করা, সত্য ও বিশুদ্ধ জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য যজ্ঞ করা, অমরত্বলাভের জন্য সর্বোচ্চ সাধনা করা—এই হলো "ব্রহ্মচারী" শব্দের মূল ভাব।
ব্রহ্মचारी সৃষ্টির সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করে, প্রতিটি বেদসূক্ত অধ্যয়ন করে এবং দেবতাদের গুণ নিজের মধ্যে ধারণের চেষ্টা করে। দেবতাদের মধ্যে যেহেতু পরমাত্মার নানা গুণ প্রকাশিত, তাই সে ঐ গুণগুলিকেই নিজের মধ্যে ক্রমে বৃদ্ধি করে। শতপথ ব্রাহ্মণ এ একই সত্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে—"যৎ দেবা আকুর্বন্ত তৎ করবাণি" অর্থাৎ, যেটা দেবতারা করেছেন, সেটাই আমি করব।
অথর্ববেদের মতে—"ব্রহ্মচার্যেণ তপসা রাজা राष्ट्र বিরক্ষতি" অর্থাৎ ব্রহ্মচার্যের তপস্যার দ্বারাই রাজা রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। আবার সেখানে বলা হয়েছে—"ব্রহ্মচার্যেণ কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্" অর্থাৎ ব্রহ্মচার্যের দ্বারাই কন্যা তরুণ স্বামীকে লাভ করে।
গোপথ ব্রাহ্মণের দ্বিতীয় প্রপাঠকে প্রাতঃসवन-এ ইন্দ্রাদির জন্য, মধ্যাহ্নসवन-এ ইন্দ্রের জন্য এবং তৃতীয় সवन-এ ইন্দ্র ও ঋভুদের জন্য হব্য প্রদানের বিধান আছে। এ প্রসঙ্গে গোপথ ব্রাহ্মণ বলেছে—"বিচক্ষণবতীং বাচ ভাষন্তে ... প্রাজাপত্যং সত্যং বদন্তি। এৎৎ মনুষ্যেষু সত্য যৎ চক্ষুঃ।" অর্থাৎ, ব্রহ্মযাজকরা জ্ঞানপূর্ণ, পূজনীয় শব্দযুক্ত বাণী উচ্চারণ করেন; প্রজাপতিও পূজনীয় শব্দে বাণী উচ্চারণ করেন, তারা সত্য বলেন।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ