বর্ধান্যং বিশ্বে মরুতঃ সজোষাঃ পচচ্ছতং মহিষাং ইন্দ্র তুভ্যম্ ।
পূষা বিষ্ণুস্ত্রীণি সরাংসি ধাবন্বৃত্রহণং মদিরমংশুমস্মৈ ॥ ঋগ্বেদ ৬।১৭।১১
अन्वयः
हे इन्द्र ! सजोषा विश्वे मरुतो यं त्वां वर्धान् यः पूषा धावन् विष्णुस्त्रीणि सरांसि व्याप्नोति तथा धावन्नस्मै मदिरमंशुं वृत्रहणमिव शत्रून् हन्ति यस्तुभ्यं शतं महिषान् ददाति यश्च परोकारार्थं पचत्तं यूयं विजानीत ॥
पदार्थः
(वर्धान्) वर्धयेरन् (यम्) (विश्वे) सर्वे (मरुतः) मनुष्याः (सजोषाः) समानप्रीतिसेविनः (पचत्) पचेत् (शतम्) शतसङ्ख्याकान् (महिषान्) महतः। महिष इति महन्नाम। (निघं०३.३) (इन्द्र) सूर्य्य इव वर्त्तमान राजन् (तुभ्यम्) (पूषा) पुष्टिकर्त्ता (विष्णुः) व्यापको विद्युद्रूपः (त्रीणि) (सरांसि) सरन्ति येषु तान्यन्तरिक्षादीनि (धावन्) धावन् सन् (वृत्रहणम्) यो वृत्रं मेघं सूर्य्य इव शत्रून् हन्ति (मदिरम्) हर्षकरम् (अंशुम्) विभक्तम् (अस्मै) ॥
আধিভৌতিক ভাষ্যঃ
হে (ইন্দ্র) সূর্যতুল্য রাজা ! (সজোষাঃ) সমভাবসম্পন্ন (বিশ্বে) সর্ব (মরুতঃ) মানবগণ (যম্) যে আপনার (বর্ধান্) বৃদ্ধি কর ও যে (পূষা) পুষ্টিকর (ধাবন্) ধাবমান (বিষ্ণুঃ) ব্যাপক বিদ্যুতরূপ (ত্রীণি) ৩ (সরাংসি) চলমান তাদের মধ্যে অন্তরিক্ষে প্রভৃতিতে ব্যাপ্ত, সেভাবে ধাবমান হয়ে (অস্মৈ) এর জন্য (মদিরম্) আনন্দকর (অংশুম্) বিভক্ত (বৃত্রহণম্) মেঘকে যেভাবে সূর্য হনন করে সেভাবে শত্রুদের হনন করে এবং যে (তুভ্যম্) আপনার জন্য (শতম্) শত (মহিষান্) বৃহৎ পদার্থ দান করে ও পরোপকারের জন্য (পচৎ) পক্ব করে তা সম্পর্কে জানুন। [ভাষ্য: মহর্ষি স্বামী শ্রীমৎ দয়ানন্দ সরস্বতী]
হে রাজন! তুমি সূর্যের মতো জ্যোতির্ময়। তোমার রাজ্যে সকল মানুষ যেন পরস্পরকে ভালবাসে, একে অপরের সেবা করে, এবং তোমার শক্তি বৃদ্ধি করে। তুমি সে বিদ্যুৎকে চিনে রেখো যা পুষ্টিদাত্রী, সর্বব্যাপ্ত। সে বিদ্যুৎ পৃথিবী, অন্তরিক্ষ ও দ্যুলোক এই ত্রিলোকেই বিস্তৃত, যখন তা গমনশীল বা গতিশীল হয়।
তুমিও যেন সদা সচল ও কর্মঠ থেকে তোমার শত্রুকে বিনাশ করো, যেমন সূর্য মেঘকে বিদীর্ণ করে।
আর সেই ব্যক্তিকে তুমি চিনে রেখো ও কৃতজ্ঞ হও যে তোমায় শত অর্থাৎ প্রচুর মহার্ঘ বস্তু দান করে, অন্যের কল্যাণে আহার প্রস্তুত করে এবং হর্ষদায়ক ও শত্রুনাশক তত্ত্ব দান করে।
অধ্যাত্মে,
[১] (যম্) = যে পরমাত্মাকে (সজোষাঃ) = পরস্পর প্রীতিযুক্ত হয়ে (মরুতঃ) = মানবগণ(বর্ধান্) = গুণকীর্তন করে তাঁএ মহিমা বর্ধন করে । হে পরমৈশ্বর্যশালী প্রভু! (তুভ্যম্) = তোমাকে লাভ করার জন্যই ভক্ত (শতম্) = শতবর্ষ পর্যন্ত, অর্থাৎ আজীবন (মহিষান্) = প্রাণসমূহকে (অপচৎ) = পরিপক্ব করে, প্রাণায়ামের মাধ্যমে প্রাণকে আরাধনার উপযোগী করে তোলে ।
[২] (পূষা) = নিজেকে সঠিকভাবে পোষণকারী অর্থাৎ পরিপুষ্টকারী ব্যক্তি, (বিষ্ণুঃ) = ব্যাপক মনোবৃত্তিযুক্ত হয়ে অর্থাৎ সর্বভূতে ভগবৎ দর্শনের মাধ্যমে (ত্রীণি সরাংসি) = ৩ জ্ঞান সরোবর অর্থাৎ ঈশ্বর-প্রকৃতি-জীবাত্মার জ্ঞানকে (ধাবন্) = [ধাবু গতিশুদ্ধয়োঃ] শুদ্ধ করার মাধ্যমে (অস্মৈ) = এই ভগবৎপ্রাপ্তির জন্য (অংশুম্) = শারীরিক ও মানসিক বল বা শক্তি [শত০ ব্রা০ ১১।৫।৯।২] (ধাবন্) = লাভ করে, যে বল (বৃত্রহণম্) = কামনাবাসনা বিনষ্ট করে ও (মদিরম্) = উল্লাসজনক।
টীকাঃ
১। শতং = শত শব্দটি দিয়ে ১০০ লেখা বা বোঝানো হলেও প্রকৃতপক্ষে এর অর্থ হলো 'বহু'। নিঘণ্টুতে [৩।১] স্পষ্টভাবেই আছে 'শতম্ বহুনাম'।
২। মহিষাং = এই পুংলিঙ্গ-বাচক বহুবচন হিসেবে মন্ত্রে উল্লেখিত। মহিষ শব্দের পশু ছাড়াও অনেক অর্থ আছে। যেমন উণাদিসূত্র [১।৪৫] অনুযায়ী মহিষ অর্থ পূজ্য বা সৎকার, সম্মানযোগ্য বোঝায়। নিরুক্ত [৭।২৬] ও নিঘণ্টু [৩।৩] অনুযায়ী মহান, মহৎ, বৃহৎ এমন কিছুকেও মহিষ বলা যায়। শতপথ ব্রাহ্মণে অগ্নিকে [৭।৩।১।২৩], প্রাণকে [৬।৭।৪।৫], ঋত্বিককেও [১২।৮।১।২] মহিষ বলা হয়েছে।
৩। পচৎ = পরিকক্ব করা৷ ভ্বাদিগণে পঠিত।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ