সামবেদ ৬৮ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

11 February, 2024

সামবেদ ৬৮

সামবেদ ৬৮

 [বিদ্বান স্তোতাগণ দ্বারা পরমাত্মা প্রাপ্তি]

• ঋষিঃ ভরদ্বাজঃ ॥ দেবতাঃ অগ্নিঃ ৷ ছন্দঃ ত্রিষ্টুপ ॥ স্বরঃ ধৈবতঃ ॥

वि꣢꣫ त्वदापो꣣ न꣡ पर्व꣢꣯तस्य पृ꣣ष्ठा꣢दु꣣क्थे꣡भि꣢रग्ने जनयन्त दे꣣वाः꣢ । 

तं꣢ त्वा꣣ गि꣡रः꣢ सुष्टु꣣त꣡यो꣢ वाजयन्त्या꣣जिं꣡ न गि꣢꣯र्व꣣वा꣡हो꣢ जिग्यु꣣र꣡श्वाः꣢ ॥६८॥

বি ত্বদাপো ন পর্বতস্য পৃষ্ঠাদুক্কেভিরগ্নে জনয়ন্ত দেবাঃ।
তং ত্ত্বা গিরঃ সুষ্ঠুতয়ো বাজয়ন্ত্যাজিং ন গির্ববাহো জিণ্ড্যরশ্বাঃ। সামবেদ। ৬৮ ॥
পদার্থঃ হে (অগ্নে) সর্বঅগ্রনায়ক পরমাত্মা! (পর্বতস্য) মেঘের ['পর্বতঃ ইতি মেঘনাম' নিঘ০ ১।১০] অথবা পাহাড়ের [আ ওপর উপল ইত্যেতাভ্যাং সাধারণানি পর্বতনামাভিঃ' নিরু০ ২।২২] (পৃষ্ঠাৎ) পৃষ্ঠ থেকে (দেবাঃ) সূর্যকিরণ ও বায়ু (আপঃ ন যেমন বর্ষাজল ও নদীমালা উৎপন্ন করে ['উপরিষ্টাদুপচারস্তস্য যেনোপমিমীতে' নিরু০ ১।৪] ও প্রবাহিত করে, তেমনই (দেবাঃ) বিদ্বান স্তোতাগণ (উদ্ধেভিঃ) বেদমন্ত্র দ্বারা (ত্বৎ) তোমার নিকট থেকে (আপঃ) আনন্দ ধারাকে (বিজনয়ন্ত) বিশেষরূপে উৎপন্ন করে, নিজ আত্মায় প্রবাহিত করেন। (তম্) সেই পরোপকারী (ত্বা) তোমাকে (সুষ্টুভয়ঃ) তাঁদের উত্তম স্তুতিরূপ (গিরঃ) বাণীসমূহ (বাজয়ন্তি”) অর্চনা করে থাকেন ['বাজয়তিঃ অর্চতিকর্মা' নিঘ০ ৩।১৪]। (অশ্বাঃ) ঘোড়া (আজিং ন) যেভাবে যুদ্ধে জয়লাভ করে ['আজৌ সংগ্ৰামনাম' নিঘ০ ২।১৭] তেমনিভাবে (গির্ব-বাহঃ) স্তোত্রসমূহ তোমার নিকট প্রেরণ করে স্তোতাগণ ['ছন্দসীবনিপৌ চ বক্তব্যৌ' অষ্টা০ ৫।২।১০৯, 'বহশ্চ' অষ্টা০ ৩।২।৬৪] তোমাকে (জিগু্যঃ) জয় করে থাকেন, প্রাপ্ত করে থাকেন ['সনলিটর্জেঃ' অষ্টা০ ৭৷৩৷৫৭] ॥
সরলার্থঃ হে সর্বঅগ্রনায়ক পরমাত্মা! মেঘের অথবা পাহাড়ের পৃষ্ঠ থেকে সূর্যকিরণ ও বায়ু যেমন বর্ষাজল ও নদীমালা উৎপন্ন করে প্রবাহিত করে, তেমনি বিদ্বান স্তোতাগণ বেদমন্ত্র দ্বারা তোমার নিকট থেকে আনন্দধারাকে বিশেষরূপে উৎপন্ন করে নিজ আত্মায় প্রবাহিত করে থাকেন। সেই পরোপকারী তোমাকে উত্তম স্তুতিরূপ বাণীসমূহ দ্বারা অর্চনা করেন। ঘোড়া যেভাবে যুদ্ধে জয়লাভ করে অর্থাৎ যোদ্ধাকে জয়লাভে সহায়তা করে, তেমনিভাবে স্তোত্রসমূহকে তোমার নিকট প্রেরণ করে স্তোতাগণ তোমাকে জয় করে থাকেন, প্রাপ্ত করে থাকেন ॥
এই মন্ত্রে 'আপো ন পর্বতস্য পৃষ্ঠাৎ' এবং 'আজিং ন জিণ্ড্যরশ্বাঃ' এই দুই স্থলেই উপমালঙ্কার হয়েছে। 'দেবাঃ' ও 'আপঃ' পদ শ্লিষ্ট হয়েছে ॥
ভাবার্থঃ যেভাবে সূর্যকিরণ ও বাতাস মেঘ হতে বৃষ্টি-জল এবং পর্বতমালা হতে নদীমালাকে প্রবাহিত করে থাকেন, তেমনিভাবে পরমেশ্বরের উপাসক বিদ্বান ব্যক্তিগণ পরমেশ্বরের নিকট হতে শুদ্ধ পরমানন্দ ধারা নিজ অন্তঃকরণে প্রবাহিত করে থাকে এবং যেভাবে প্রশিক্ষিত ঘোড়া যুদ্ধভূমি জয় করে নেয়, তেমনিভাবে পরমেশ্বরের উপাসকেরা পরমেশ্বরকে জয় করে নেন ॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

দ্রষ্টব্য জগত ও পৌরাণিক জগত

কালগণনার অনুযায়ী তেতাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার বছরের সময়কালকে প্রতি মহাযুগ হিসেবে গণনা করা হয়। এক হাজার মহাযুগ মিলে এক কল্প হয়, যাকে সূর্যাদি...

Post Top Ad

ধন্যবাদ