আমি ইসলামের ধর্মগ্রন্থ [ইসলাম কোন ধর্ম নয়] কোরাণ ও হাদীস বারবার পড়েছি, বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি, দেড় হাজার বছর ধরে এই মতবাদ মানুষ কি করে গ্রহণ করে চলেছে ভেবে পাই না। ভেবে পাই না কি করে মানুষ ইসলামকে সনাতন বৈদিক ধর্মের সমার্থক বলে। বিদগ্ধ ব্যক্তিদের “সব ধর্মইতো সমান” এমন নির্বোধ উন্মাদসলভ বক্তব্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করি। হয়তো অনেকে প্রশ্ন করবেন, তবে মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কেন ? বিতর্কে যেতে চাই না। শুধু একবার ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। সেখানে মনুষ্যত্ব, গণতন্ত্র নারীর স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার কি খুঁজে পাই? কোরাণ পড়ে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে মানুষ ও মুসলমান দুটি ভিন্ন শব্দ। যে কোরাণসম্মত মুসলমান সে মনুষ্যত্ববর্জিত, পরধর্মবিদ্বেষী, পরমত অসহিষ্ণু হবেই। আজ মানুষ যখন মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে, বিস্মিত হই কেন এখনও ধর্মের নামে একশ্রেনী অন্যশ্রেনীর মানুষের প্রতি এত ঘৃণা এত বিদ্বেষ সঞ্চার করতে পারে! আসলে গোটা মুসলমান সমাজ আজ মোল্লা মৌলভী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই শিক্ষিত পন্ডিত মুসলমানেরা অন্যায় জেনেও ইসলামের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে না। ইসলাম এমনই এক স্বৈরাচারী সাম্রাজ্যবাদী অশুভ শক্তি যার জন্য মুসলমান সমাজে একটাও রামমোহন ও বিদ্যাসাগর জন্মাতে পারে না।
হিন্দু সমাজের ধর্ম নিরপেক্ষ, উদার, মানবতাবাদী, সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী ব্যক্তিরাও ইসলামী তত্ত্ব পড়েন না এবং ইসলামের বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মত হিম্মতও তাঁদের নেই। যাঁরা ধর্মকে অফিঙ বলে, হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করে তৃপ্তিবোধ করেন তাঁদের মধ্যে একটাও পিতার পুত্র নেই যিনি পরধর্ম বিদ্বেষী ইসলামের নিন্দা করেন, প্রতিবাদ করেন। কোন লেখক বা কোন সাংবাদিক এ বিষয়ে কলম ধরতে সাহস করেন না। ইসলামী তত্ত্ব পাঠ করার পর মনে করি যে ইসলামের নামে সর্বনাশা আগ্রাসন থেকে মনুষ্যজাতিকে যদি সচেতন করা না যায়, পৃথিবীকে যদি ইসলামের বর্বরতা, উন্মত্ততা থেকে উদ্ধার করা না যায় তবে মানুষকে আবার কষ্ট করে সভ্য হতে হবে। আদিম অসভ্য যুগে ডুবে যাবে আবার মানুষ। এত জ্ঞান-বিজ্ঞান, এত সাধনা আমাদের অসাবধনতা, আমাদের প্রতিকার প্রবণতার অভাবে দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে।
কোরাণের বহু জায়গায় অমানবিক ও পরধর্মবিদ্বেষী আয়াত ছড়িয়ে আছে। আমি সেখান থেকে কিছু আয়াত নিয়ে তার যথার্থ ব্যাখ্যা পাঠকবর্গের কাছে তুলে ধরছি। সাবধানী বিচক্ষন পাঠক আয়াতগুলি পড়ে সিদ্ধান্ত নেবেন যে ধর্ম বলতে আমরা যা বুঝি ইসলাম তার অন্তর্ভুক্ত হয় কি না। সংস্কারমুক্ত প্রকৃত মানবিক মুল্যবোধে উদ্দীপ্ত মুসলমান বন্ধুর কাছেও একই আহ্বান জানাচ্ছি।
■ "হে বিশ্বাসীগণ নরহত্যার ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাসের (বিনিময়ের) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্বাধীন ব্যক্তির বদলে স্বাধীন ব্যক্তি ক্রীতদাসের বদলে ক্রীতদাস ও নারীর বদলে নারী।” • সূরা বাকারাহ্ / আয়াত ১৭৮
বোঝা যাচ্ছে আল্লা তাঁর অনুগামীদের নরহত্যার ব্যাপারে অনুমতি দিচ্ছেন। বিনিময়টা যেভাবেই হোক না কেন যে শাস্ত্র যে দর্শন মানুষকে হিংসা শেখায়, নরহত্যায় উৎসাহিত করে তা কি করে সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হয়? তার ফলে মনুষ্যত্ব পশুত্বে নেমে যেতে বাধ্য নয় কি?
■“আর যেখানে পাও, তাদের হত্যা কর।" •সূরা বাকারাহ / আয়াত ১৯১
যারা অমুসলমান তাদের হত্যা করতে বলা হয়েছে। 'কোরাণ' মহান আল্লার বাণী। আল্লা যদি ভগবান [ঈশ্বর] হন তবে তিনি কি করে অমুসলমানদের হত্যা করার নির্দেশ দিতে পারেন? যে গ্রন্থ অপর ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করতে নির্দেশ দেয় তা কি কখনো সুস্থ মনুষ্য সমাজে আদৃত হওয়া উচিত না কি ঐ ধর্মকে মানুষের ধর্ম বলা যেতে পারে? অথবা মুসলমানদের সঙ্গে অমুসলমানদের একত্রে বাস করা সম্ভব? সেকুলার বন্ধুরাই উত্তর দিতে পারেন।
■ "আর তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না তাদের ধর্মদ্রোহীতা দূর হয় • সূরা বাকারাহ্ / আয়াত ১৯৩
আল্লার রসুল জানতেন যে তাঁর এই অমানবিক, আধ্যাত্মহীন, মনুষ্যবর্জিত ধর্ম মানুষ স্বাভাবিক ভাবে মানুষ গ্রহণ করবে না, তাই যুদ্ধ করার ফতেয়া জারী করে জোরপূর্বক আল্লার ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করব। ইতিহাস এই আয়াতটির সার্থকতা প্রমান করেছে। ইসলাম যেখানেই গেছে তরোয়াল চালিয়ে সেখানকার ধর্ম-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে। এবং ভালবাসা দিয়ে নয়, মহত্ত্ব দিয়ে নয়, ভয় দেখিয়ে তরবারি দেখিয়ে আল্লার ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করেছে। এইরকম পরমত অসহিষ্ণু সাম্রাজ্যবাদী অশুভ শক্তিকে ধর্ম বলা যাবে?
■ “এবং কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম চাইলে তা কখনও গ্রহণ করা হবে না এবং সে হবে পরলোক ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত।" সুরা আল-ই ইমরাণ / আয়াত ৮৫
আল্লা যদি পরম সত্য ও সর্বস্রষ্টা হন তবে পরধর্মের প্রতি তাঁর ঈর্ষা কেন? ইসলাম তিনিই সৃষ্টি করেছেন, তাঁরই মনোনীত ধর্ম, তবে মানুষ অন্য ধর্ম গ্রহণ করবে কেন? তবে কি আল্লা জানেন তাঁর মনোনীত ধর্মে অপূর্ণতা আছে তাই ইসলাম ছেড়ে যাতে মানুষ অন্য ধর্ম গ্রহণ না করে তার জন্য তাদের পরলোকের ভয় দেখানো হয়েছে। এরকম অনুদার আত্মকেন্দ্রিক অগণতান্ত্রিক ধর্ম মনুষ্য সমাজের মুক্তির পথ কি করে দেখাতে পারে?
■ "অবিশ্বাসীগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।" সূরা নিসা / আয়াত ১০১
কোরআনের ভাষায় যারা ইসলামের অনুগত নয় অর্থাৎ যারা মুসলমান নয় তারা অবিশ্বাসী। অন্য নামে কাফের, মুশরিক ইত্যাদি। বর্তমান আয়াতে দীন দুনিয়ার মালিক ঘোষণা করে দিলেন যে অবিশ্বাসীগণ অর্থাৎ অমুসলমানগণ মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। একটা মুসলমান ছোট থেকে এই মানসিকতায় গড়ে উঠেছে। সর্বধর্ম সমন্বয়কারীরা সাবধান। হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই' কথাটা যে কত ভ্রান্ত আশা করি বুঝতে পারছেন। শত্রুর সঙ্গে কখনোই তারা মিত্রতা স্থাপন করতে পারে না। যদি কখনও করে জানতে হবে উদ্দেশ্য মোটেই সাধু নয়।
■ "যারা সত্যধর্ম (ইসলাম) অনুসরণ করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বেচ্ছায় জিজিয়া দেয়।”- সূরা তওবা / আয়াত ২৯
ইসলাম সৃষ্টির পর থেকে মানুষকে জোর করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ইসলামে দীক্ষিত করা হয়েছে এই আয়াতটিই সে কথার প্রমান রাখে। তাই ইসলামের মতো সাম্রাজ্যবাদী আর কে হতে পারে? যুদ্ধে যুদ্ধে রক্তের বন্যা বইয়ে সুস্থ সমাজে অশান্তি ও দানবতা সৃষ্টিরই অপর নাম ইসলাম। ইসলাম যেখানে ক্ষমতাশালী সেখানে অন্য ধর্ম সংস্কৃতি বলে কিছু থকে না। অবিশ্বাসী বা কাফেরদের উপর জিজিয়া কর চাপানো হয়। এটা আরব মনুষ্যজাতির মুক্তির পথের দিশারী শ্রেষ্ঠ, পবিত্র ধর্ম। এইরকম শান্তিধ্বংসকারী মানবতার বিভীষিকা ইসলাম কৃপাণ দেখিয়ে মুসলমান তৈরী করতে পারে, কিন্তু একটাও মানুষ তৈরী করতে পারে না। তাই সকলের চিন্তা করা উচিত যে পবিত্র মানব সভ্যতার ধ্বংসকারী এই ইসলাম বিশ্বশান্তির যুগে অগ্রণী সমাজে কতটা গ্রহণযোগ্য?
■ "হে বিশ্বাসীগণ অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখুক। জেনে রেখো যে আল্লা সাবধানীদের সাথে আছেন।" সূরা তওবা / আয়াত ১২৩
স্বয়ং আল্লা মুসলমানদের নিকটবর্তী অমুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এই দস্যুবৃত্তি করতে যে শিক্ষা দেয় সে জগৎপিতা হয় কি করে? শুধু তাই নয় আল্লা মুসলমানদের এই বর্বর কাজে সাহায্য করবেন। তবে কি কোরাণের বর্ণনায় আল্লা ও সর্বজীবের মঙ্গলময় কর্তাই শ্রীভগবান। প্রত্যেক মানুষের প্রতি প্রতিটি শ্রেনীর উপরে রয়েছে তাঁর করুণা ও আশীর্বাদ। ভগবানকে [ঈশ্বরকে] যারা ভালবাসে না, যারা বিশ্বাস করে না ভগবান তাদেরও ভালবাসেন। তাঁর কাছে মানুষের কোন বিভেদ নেই। ভগবৎ সাধনার ফলে প্রতিটি মানুষই মুক্তির অধিকারী হতে পারে। কোরাণে আল্লাকেই ঈশ্বর বলা হচ্ছে। বহুদিন থেকেই বহু মানুষ বলে আসছেন ভগবান আল্লা একই কথা। যাত্রাপালার মীরাবাঈকে দিয়ে বলানো হল ঈশ্বর ও আল্লার কোন তফাৎ নেই। অনেক সাধু পণ্ডিত বিদ্বান ব্যক্তিও এই একই মন্তব্য করে থাকেন। কিন্তু এই অন্তঃসারশুন্য চিরন্তন মিথ্যে কথাটা এই সকল বিজ্ঞ ব্যক্তির অজ্ঞতাকেই প্রকাশ করে। ভগবানের সংজ্ঞা আমরা যেভাবে নির্ণয় করে থাকি তা কিন্তু আল্লার ক্ষেত্রে কখনই খাটে না। ভগবানের স্বরূপ কোরাণে বর্ণিত আল্লার স্বরূপ এক নয়। গণতান্ত্রিক, সাম্যবাদী করুণাময় হিসাবে যেখানে ভাগবানকে জানি, আল্লার পরিচয় সেখানে অগণতান্ত্রিক, সাম্রাজ্যবাদী, সঙ্কীর্ণ চিন্তাসম্পন্ন দলনেতা। এটা আমার কল্পকথা নয়। বর্তমান আলোচনায় কোরাণ থেকেই উদ্ধৃত আয়াতের সাহায্যে আমার বক্তব্যকে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছি । আরও একটা প্রশ্ন, আল্লাকে নিরাকার বলা হয় এবং তাঁকে অংশী করা বা তাঁর আকার নির্ণয় করা পাপ একথা ইসলাম বলে। কিন্তু আল্লারও আকার আছে কিছু আয়াতেই তার প্রমান মিলবে। আল্লার স্বরূপ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সচেতন হবার পর আশা করি পাঠকবর্গের বিভ্রান্তি কেটে যাবে এবং অজ্ঞের মতো আর ভগবান ও আল্লায় মিশিয়ে ফেলবেন না। একটা কথা মনে রাখা দরকার যে মানুষ জন্মসূত্রেই মুসলমান হয় না। একজন মুসলমান লেখকের রচনাতেই পড়েছি যে কলমা’ পড়ার পর মানুষ মুসলমান হয়। তাহলে 'মানুষ' ও 'মুসলমান' শব্দ দুটোর পৃথক অস্তিত্বকে আমরা স্বীকার করতে পারি। একই কারণে বলা যায় ভগবান ও আল্লা পৃথক শব্দ, কখনই একে অন্যের পরিপূরক নয়। এখানে শুধু কোরাণের ও হাদীসের বক্তব্য উল্লেখ করে আল্লার প্রকৃত স্বরূপকে তুলে ধরা হয়েছে এবং ভগবান ও আল্লা এক এই চিরন্তন মিথ্যে আয়াতের উপর তীব্র সত্যের কশাঘাত করা হয়েছে।
■ "তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং অংশীবাদীদের হতে দূরে থাক।” সূরা আনআম / আয়াত ১০৬
এই আয়াতটি কোরাণের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ আছে। মুসলমান যাতে আল্লার দল ছেড়ে চলে না যায় তাই বারবার তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এখানে আল্লার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পায়। অংশীবাদীদের থেকে দূরে থাকার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা খুবই যুক্তিসঙ্গত। কারণ আল্লা নির্দেশিত ইসলামে ধর্মের ব্যাপার বল তো কিচুই নেই। শুধু ভয় আর হুরীর লোভ দেখিয়ে দল পাকাবার কথাবার্তা, যদি এখন মুসলমান অংশীবাদী হিন্দুদের সান্নিধ্যে যায় তবে আসল নকল চিনে ফেলবে। মুসলমান হয়ে যাবে মানুষ তাই তাদের পৃথক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হোল। শুধু তাই নয় এই মানসিকতায় তৈরী হলে স্বাভাবিকভাবেই ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রতি আনুগতা থাকবে না বরং বিচ্ছিন্নতার প্রতি তার ঝোঁক হবেই।
■ "নিশ্চয় যারা গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছে পার্থিব জীবনে তাদের ওপর তাদের প্রতিপালকের ক্রোধ ও লাঞ্ছনা আসবে আর এভাবে আমি অপবাদ রচনাকারীদের প্রতিফল দিয়ে থাকি।” • সূরা আরাফ / আয়াত ১৫২
হিন্দুরা গরুকে গো-মাতা জ্ঞানে পূজা করে তবে তাদের বিরুদ্ধাচারণ করে এ ধরণের আয়াত কেন? আল্লা এত পরাশ্রীকাতর কেন যার জন্য তিনি -পূজকদের সহায়তা করতে পারছেন না। ভারতের জাতীয় জীবনে গরু একটি শ্রদ্ধার স্থান পেয়ে আসছে সেখানে আল্লার ক্রোধ ও লাঞ্ছনার ভয় দেখিয়ে কোন মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা অগণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষতরও পরিপন্থী। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ করে কারা কোরাণের এই সকল পরধর্ম বিদ্বেষী আয়াতগুলি থেকেই তার নিদর্শন পাওয়া যাবে।
■ "অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে অংশীবাদীদের যেখানে পাবে বধ করবে, তাদের বন্দী করবে, তাদের অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওৎ পেতে থাকবে।"- সূরা তওবা / আয়াত ৫
এই আয়াতটি প্রত্যেকটি অমুসলমানের মনে রাখা উচিত। তবে মুসলমান সমাজের বর্বরতা স্মরণে থাকবে। বিশেষ করে নির্বোধ সর্বধর্ম সমন্বয়বাদীদের আয়াতটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিষিদ্ধ মাস বলতে মহরম বা রমজান মাস বোঝায় আর অংশীবাদী অর্থে মূর্তিপূজক। অর্থাৎ আয়াতটির অর্থ দাঁড়ায় যে রমজান বা মহরম মাস অতিক্রান্ত হলে মূর্তিপূজকদের অর্থাৎ হিন্দুদের হত্যা কর। বিস্মিত হই, আল্লা যদি প্রকৃতই ঈশ্বর হবেন তবে কি করে এটা তার বাণী হয়। এরকম পরধর্ম বিদ্বেষী অমানবিক জহ্বাদস্বরূপ বাক্যটি যে গ্রন্থে স্থান পায় তাকে কি ‘ধর্মগ্রন্থ' বলা যায়, নাকি এই গ্রন্থের অনুগামীরা 'মানুষ' নামের অধিকারী হতে পারে? ধর্মের নামে এই যে বর্বরতা, মানুষের প্রতি চরম ঘৃণা যারা ছড়িয়ে বেড়ায় তারা সভ্য সমাজে ধিক্কারযোগ্য এবং এই বর্বরতার প্রতিবাদ করতেও যারা ভয়ে সঙ্কুচিত হয় মনুষ্য পদবাচ্যের অধিকারী তারাও হতে পারে না।
■ "যারা সত্যধর্ম (ইসলাম) অনুসরণ করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বেচ্ছায় জিজিয়া দেয়।" সূরা তওবা / আয়াত ২৯
ইসলাম সৃষ্টির পর থেকে মানুষকে জোর করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ইসলামে দীক্ষিত করা হয়েছে এই আয়াতটিই সে কথার প্রমান রাখে। তাই ইসলামের মতো সাম্রাজ্যবাদী আর কে হতে পারে? যুদ্ধে যুদ্ধে রক্তের বন্যা বইয়ে সুস্থ সমাজে অশান্তি ও দানবতা সৃষ্টিরই অপর নাম ইসলাম। ইসলাম যেখানে ক্ষমতাশালী সেখানে অন্য ধর্ম সংস্কৃতি বলে কিছু থাকে না। অবিশ্বাসী বা কাফেরদের উপর জিজিয়া কর চাপানো হয়। এটা আরব মনুষ্যজাতির মুক্তির পথের দিশারী শ্রেষ্ঠ, পবিত্র ধর্ম। এইরকম শান্তিধ্বংসকারী মানবতার বিভীষিকা ইসলাম কৃপাণ দেখিয়ে মুসলমান তৈরী করতে পারে, কিন্তু একটাও মানুষ তৈরী করতে পারে না। তাই সকলের চিন্তা করা উচিত যে পবিত্র মানব সভ্যতার ধ্বংসকারী এই ইসলাম বিশ্বশান্তির যুগে অগ্রণী সমাজে কতটা গ্রহণযোগ্য?
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ